নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং স্তম্ভ টেলর
নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। ধারে ভারে নিউজিল্যান্ডের এই বিশ্বকাপ দলে তার কাছাকাছি মানের ব্যাটসম্যানও নেই। শুধু এই দলের কথা বলা কেন? কিউই ক্রিকেটে তিনি তো আসলে কিংবদন্তি এক ব্যাটসম্যান।
২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর দেশের হয়ে ২১৮টি ওয়ানডে খেলেছেন টেলর। ৪৮.৩৪ গড়ে করেছেন ৮০২৬ রান। সেঞ্চুরি ২০টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৭টি।
তিন নম্বরে তো বটেই, পরিসংখ্যান বলছে- ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান টেলর। রানের হিসেবে সবার উপরে, সেঞ্চুরির হিসেবেও।
ধীরস্থিরভাবে শুরু করেন, কিন্তু জুটি গড়া বা দলকে এগিয়ে নেয়ার কাজটা সুনিপুনভাবে করতে জুড়ি নেই টেলরের। ঠান্ডা মাথার খুনি যাকে বলে! দুর্দান্ত ধারাবাহিকতার এই প্রতিমূর্তি যখন দাঁড়িয়ে যান, প্রতিপক্ষ বোলারদের আসলে কিছুই করার থাকে না।
পরিসংখ্যান বলছে-ওয়ানডেতে যে ২০ সেঞ্চুরি করেছেন, তার মধ্যে ১০ ইনিংসেই টেলর মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত থেকে। বিপদের মুখে ত্রাণকর্তা আর দুর্দান্ত ফিনিশার, দুই ভূমিকাতেই ভীষণ সফল ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের মাটিতে। এবার তাই আইপিএল না খেলে ইংলিশ কাউন্টিতে মিডলসেক্সের হয়ে খেলেছেন টেলর। তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটাও এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। ২০১৮ সালের মার্চে ডানেডিনে খেলেছিলেন ১৮১ রানের ইনিংস, ১৪৭ বলের বিধ্বংসী ইনিংসেও টেলর ছিলেন অপরাজিত।
বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড দলের সাফল্যের মূল কান্ডারি হবেন এই টেলর। তার মতো ঠান্ডা মাথার একজন ব্যাটসম্যান কোনো দলে থাকলে বিপদ আপদ নিয়ে আসলে ওত দুশ্চিন্তার দরকারও হয় না।
এমএমআর/এমএস