রাবাদাই হতে পারেন এবার প্রোটিয়াদের তুরুপের তাস
ডেল স্টেইনের আগের সেই দিন আর নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের এখন সেরা অস্ত্র ২৩ বছর বয়সী কাগিসো রাবাদা।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। প্রথম ম্যাচেই তাক লাগিয়ে দন রাবাদা। ঢাকায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ বলতে গেলে একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছিলেন ১৯ বছরের এই পেসার। ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
বিস্ময় ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় আসা এরপর দিনকে দিন নিজেকে কেবল পরিণতই করেছেন। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬৬টি ওয়ানডে খেলেছেন, নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। এর মধ্যে ৪ উইকেট আছে ৬ বার, ১ বার ৫ উইকেট।
এবার আইপিএলে তো দিল্লি ক্যাপিটালসের সাফল্যের মূল অস্ত্র ছিলেন এই রাবাদা। চোটে ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
এর মধ্যে একটি ম্যাচে সুপার ওভারে চোখ ধাঁধানো বোলিং করে দিল্লিকে জেতান রাবাদা। বয়স কম হলেও চাপের মুখে যে তিনি ভেঙে পড়েন না, সেটিই দেখিয়েছেন মাঠে।
এমন একজন ঠান্ডা মাথার বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্বপ্নসারথি, সমর্থকদের জন্য সেটা স্বস্তির ব্যাপারই। আর রাবাদা যদি নিজের সেরা ছন্দে থাকেন, তবে প্রোটিয়াদের বড় টুর্নামেন্ট জিততে না পারার আক্ষেপটা আনন্দে রূপ নিতে পারে এই বিশ্বকাপেই।
ইংলিশ কন্ডিশনে নিজেকে মেলে ধরতে পারলে কাগিসো রাবাদাই হয়ে উঠতে পারেন প্রোটিয়ারে সত্যিকারের গেম চেঞ্জার। একাই তিনি যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তুলতে পারেন। এনে দিতে পারেন কাঙ্খিত জয়।
এমএমআর/আইএইচএস/আরআইপি