দেশের প্রথম শিরোপা জয়ের সেরা মোসাদ্দেক
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সুস্থ থাকলে ফাইনাল ম্যাচের একাদশেই সুযোগ পেতেন না ডানহাতি অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সাইড স্ট্রেইনের কারণে সাকিব ছিটকে যাওয়ায় মূলত পঞ্চম বোলারের অভাব পূরণ করতেই দলে নেয়া হয় মোসাদ্দেককে।
সেই তিনিই কি-না ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেছেন নিজের উত্তাল উইলোবাজিতে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে টানা ছয়টি ফাইনাল হারের পর সপ্তমবারে এসে বাজিমাত করল বাংলাদেশ। আর দেশের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জয়ের ম্যাচে মাত্র ২৪ বলে ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জিতেছেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ মোসাদ্দেকই।
অথচ মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ের পর মোসাদ্দেক যখন উইকেটে এলেন, সমীকরণটা তখন একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। ২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ২৪ বলে দরকার ছিল ৩৮ রান। কেমার রোচের করা ২১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকালেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে নির্দ্বিধায় বলে দেয়া হলো, এটিই ম্যাচের সেরা শট। তবে শুধু ম্যাচের সেরা শট খেলেই থামেননি মোসাদ্দেক, খেলেছেন ম্যাচের সেরা ইনিংস, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। তার ২০ বলে ফিফটিতে ভর করেই ৭ বল হাতে রেখে ২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকে গেছে টাইগাররা।
শুরুতে খানিক জড়তায় আটকে যাওয়া মোসাদ্দেক নিজের প্রথম ৯ বলে করেছিলেন মাত্র ৭ রান। সেখান থেকে পরের ১১ বলে করেন আরও ৪৩ রান। সবচেয়ে বেশি ঝড়টা বইয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার ফাবিয়ান অ্যালেনের ওপর। তার করা ২২তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৬, ৬, ৪, ৬ ও ২ রান।
সে ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে ৬ বলে ২৫ সহ নিজের ফিফটি পূরণ করেন মাত্র ২০ বলে। যা কি-না বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। হাফ সেঞ্চুরির পর খানিক দেখে খেলেছেন তিনি। তাই তো পরের ৪ বলে এসেছে ২ রান।
সবমিলিয়ে ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে মাত্র ২৪ বলে ৫২ রান করে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে তাকে যথাযথ সাপোর্ট দিয়েছেন সৌম্য সরকার (৪১ বলে ৬৬) এবং মুশফিকুর রহীম (২২ বলে ৩৩)।
এসএএস/এমবিআর