ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঝলক রাহীর
বিশ্বকাপ দলে তাকে নেয়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ওয়ানডে অভিষেকই যার হয়নি, এমন একজন আনকোরা বোলার কেন বিশ্বকাপের কঠিন মঞ্চে, সেই প্রশ্নও ছিল অনেক সমর্থকের। তবে নির্বাচকরা যে আবু জায়েদ রাহীর মধ্যে কিছু দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মাঠের পারফরম্যান্সেই সেটি প্রমাণ করে দিলেন ২৫ বছর বয়সী এই পেসার।
গত ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে। অভিষেকটা খুব বেশি সুখকর ছিল না রাহীর। টাইগার বোলারদের তোপে ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হাত খুলে খেলতে পারেনি। অথচ সে ম্যাচেও উইকেটের দেখা পাননি রাহী, খরচ করেছেন রানও।
ওই ম্যাচে ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন রাহী। তারপরও আইরিশদের বিপক্ষে (বুধবার) আজ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এক ম্যাচ দিয়েই তো কারও সামর্থ্য বিবেচনা করা যায় না!
রাহী সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন। যদিও নিজের ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত ছিলেন উইকেটশূন্যই। অ্যান্ডি বালবির্নিকে আউট করে সেই অপূর্ণতা কাটালেন, দেখা পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের।
আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন বালবির্নি। এবারও ভয়ংকর হয়ে উঠার ইঙ্গিত ছিল তার ব্যাটে। কিন্তু রাহী তাকে সেটা হতে দিলেন না। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রানে পৌঁছে যাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানান।
যদিও লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলটি বালবির্নির ব্যাটে লেগেছে কিনা, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ না থাকায় বালবির্নির কিছু বলার সুযোগ ছিল না।
পরের উইকেটটিতেও কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল। অফসাইডে ফুলটস হয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন সেট ব্যাটসম্যান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। দৌড়ে এসে বাউন্ডারিতে দারুণ এক ক্যাচ নেন লিটন দাস। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হওয়া পোর্টারফিল্ড বোধ হয় মনে মনে রাহী-লিটনের গোষ্ঠী উদ্ধার করছিলেন!
সেই যে ছন্দ ফিরে পেলেন, আর থামলেন না। পরের ওভারে আরও ভয়ংকর দেখা গেল রাহীকে। টানা দুই বলে কেভিন ও'ব্রায়েন (৩) আর সেঞ্চুরিয়ান পল স্টার্লিংকে (১৩০) সাজঘরের পথ দেখিয়ে আইরিশদের তিনশো পেরুনোর স্বপ্নে বাধ দিলেন। তার পরের ওভারেই তিনি ফেরান চড়াও হয়ে খেলতে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসনকে, ৬ বলে ১২ রান করেন তিনি।
সবমিলিয়ে ৯ ওভারে ৫৮ রান খরচায় ৫টি উইকেট রাহীর। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসেই এমন ঝলক, বিশ্বকাপের আগে তার কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সই তো আশা করেছিলেন টাইগার সমর্থকরা!
এমএমআর/এমএস