‘কম ভুল’ করায় চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই : ধোনি
গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট- ব্যাট বলের এ লড়াইয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না কিছুই। আর টুর্নামেন্ট যদি হয় এবং ম্যাচটা যদি হয় ফাইনাল, তাহলে অনিশ্চয়তার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যেকোনো স্কেল।
যার উজ্জ্বল উদাহরণ রোববার রাতে চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচটি। যেখানে পরতে পরতে বদলেছে ম্যাচের গতিপথ। কখনো চেন্নাই এগিয়ে তো, কখনো আবার মুম্বাই। শেষপর্যন্ত শেষ ওভারের শেষ বলে গিয়ে শিরোপা জিতেছে মুম্বাই।
ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল মুম্বাই। কিন্তু মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলায় ১৪৯ রানের বেশি হয়নি তাদের সংগ্রহ। রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। কিন্তু তারাও খেই হারায় ১০ ওভারের পর।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেন ওয়াটসন। তাকে আবার ৩ বার জীবন দেন মুম্বাইয়ের ফিল্ডাররা। একপর্যায়ে ৩০ বলে ৬২ প্রয়োজন ছিলো চেন্নাইয়ের। তখন বোলিংয়ে এসে ২০ রান খরচ করেন মালিঙ্গা। পরে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ওভারে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ আরও সহজ করেন ওয়াটসন।
কিন্তু শেষ ওভারে বাজিমাত মালিঙ্গার। সহজ ডাবলস নেয়ার ক্ষেত্রে অযথাই অনিশ্চয়তার দোলাচালে পড়ে রানআউট হন ওয়াটসন। পরে শেষ বলে শার্দুল ঠাকুরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক হন নিজের আগের ওভারে ২০ রান খরচ করা মালিঙ্গা।
এমন উত্তেজনাকর ম্যাচের পর চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মেনে নিয়েছেন ভুলের মিছিলে মেতেছিল দুই দলই। কিন্তু কম ভুল করায় শিরোপা উঠেছে মুম্বাইয়ের ঘরে। এসময় নিজ দলের মিডলঅর্ডারকেও হারের জন্য দায়ী করেন ধোনি।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চেন্নাই অধিনায়ক বলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের মৌসুমটা ভালো কেটেছে। তবে আপনি যদি পেছন ফিরে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন এবারের আসরটা এমন ছিলো না যেখানে আমরা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের মিডল অর্ডার কিছুই করতে পারেনি এবার, তবু আমরা উৎরে গেছি। আজকের (ফাইনাল) ম্যাচটিতে আমাদের আরও ভালো করা উচিৎ ছিলো।’
এসময় ফাইনাল ম্যাচটিকে ‘ফানি গেম’ উল্লেখ করে ধোনি বলেন, ‘পুরো ম্যাচটা ছিলো খুবই ফানি গেম। দুই দলই ট্রফিটা একে অপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। দুই দলই অনেক ভুল করেছে। শেষপর্যন্ত কম ভুল করায় শিরোপা ঘরে তুলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে আমাদের বোলাররা বেশ ভালো করেছে। এমন উইকেটে ১৫০ রানের নিচে আটকে রাখা দুর্দান্ত ব্যাপার ছিল।’
এসএএস/জেআইএম