এখনই হতাশায় ডুবতে চান না তামিম
সন্দেহ নেই দেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি টোয়েন্টি- সব ফরম্যাটেই তামিমের পক্ষে কথা বলে তার সংখ্যাগুলোই। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বদলে যাওয়া তামিমের ব্যাটেই ওয়ানডে ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
এখনো পর্যন্ত ১৯০ ওয়ানডে খেলে ৩৬.৩৩ গড়ে ৬৫৪০ রান করেছেন তামিম। পঞ্চাশ পেরিয়েছেন মোট ৫৬ বার। এর মধ্যে পঞ্চাশকে একশতে পরিণত করতে পেরেছেন মাত্র ১১ বার। বাকি ৪৫ ইনিংসেই থেমেছেন ৫০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে।
এ পরিসংখ্যানটাকে আরও গভীর থেকে হিসেব করলে দেখা যায় ৪৫টি ফিফটির ইনিংসে ১০ বার তিনি পেরিয়েছেন ৮০ রানের ঘর, কিন্তু করতে পারেননি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ২ বার ছিলেন অপরাজিত, আউট হয়েছেন ৮ বার। যার সবশেষ উদাহরণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে, যেখানে তামিমের ইনিংস থেমেছে ঠিক ৮০ রানেই।
অথচ যে ৮ বার তিনি আউট হয়েছেন ৮০ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে, তার অন্তত ৪-৫টিও যদি সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারতেন- তাহলে নিশ্চিতভাবে তার পরিসংখ্যান হতো আরও সমৃদ্ধ, ক্যারিয়ার শেষে সেঞ্চুরির সংখ্যাও থাকতো আরও বেশি।
তবে এ বিষয়ে হতাশায় পুড়তে চান না তামিম ইকবাল। যদি আফসোস করতেই হয় সেটা ক্যারিয়ার শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছেন বাঁহাতি এ ড্যাশিং ওপেনার। শুক্রবার ডাবলিনের ওয়াইএমসিএ মাঠে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের ব্যাটিং নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘৮০’র ঘরে আউট হলে আফসোস হওয়ারই কথা। দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন সময়ে নিজের দোষেই আউট হয়েছি। এমন কিছু করতে গিয়েছি, যা করার দরকার ছিল না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য ছিল।’
এসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮০ রানে আউট হওয়ার ব্যাখ্যায় তামিম বলেন, ‘শেষ ইনিংসটিতে আমি বলের মেধা বিচার করেই খেলছিলাম। কিন্তু আমি দুর্ভাগা ছিলাম যে বলটা সরাসরি ফিল্ডারের হাতে চলে যায় এবং দারুণ একটা ক্যাচ নেয় সে। এসব ক্ষেত্রে হতাশার সুযোগ নেই। তবে আমি সেঞ্চুরি করতে পারিনি, এ নিয়ে আফসোস নেই। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারিনি দেখেই মূলত হতাশ।’
তবে এসব ভেবে এখনই হতাশার সাগরে ডুবতে চান না তামিম, পুড়তে চান না আফসোসে। বরং ক্যারিয়ার শেষে হয়তো এসব নিয়ে আফসোস হতে পারে বলে জানান ড্যাশিং এ ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘ক্যারিয়ার শেষে পেছনে ফিরে তাকালে হয়তো আফসোস হতে পারে। কারণ যতবার আশির ঘরে আউট হয়েছি, তার অর্ধেকও যদি সেঞ্চুরি করতে পারতাম তাহলে ক্যারিয়ার আরও সুন্দর হতে পারতো। তবে এখন যা হয়ে গেছে, তা তো হয়েই গেছে। আফসোস করেই বা কী লাভ? আশা করবো সামনেরবার আশির ঘরে গেলে বা এমন সুযোগ পেলে যেন উইকেট দিয়ে না আসি। ভালো বলে বা ভালো শটে আউট হয়ে গেলে ভিন্ন কথা কিন্তু উইকেট বিলিয়ে দেয়া যাবে না।’
এসএএস/জেআইএম