হায়দরাবাদকে হারিয়ে কলকাতার মুখে হাসি ফোটাল ব্যাঙ্গালুরু
খেললো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, কিন্তু ম্যাচ শেষে চওড়া হাসিটা যেনো কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজম্যান্টের মুখেই। কেননা ব্যাঙ্গালুরুর কাছে হায়দরাবাদ হেরে যাওয়ায় উজ্জ্বল হয়েছে কলকাতার প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা।
শনিবার রাতে হায়দরাবাদকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। হায়দরাবাদের করা ১৭৫ রানের সংগ্রহ ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে বিরাট কোহলির দল। তবে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু, তাদের গতরাতের জয়ে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হায়দরাবাদও।
কারণ ১৪ ম্যাচশেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ এখন মাত্র ১২। এক ম্যাচ কম খেলে কলকাতার সংগ্রহও ঠিক তাই। আজ (রোববার) রাতে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হবে কলকাতা। এ ম্যাচে জিতলেই চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হবে তাদের।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে এসে ক্যারিবীয় তরুণ শিমরন হেটমায়ারের সেরা পারফরম্যান্স পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। যে কারণে কোহলি (৭ বলে ১৬) ও ডি ভিলিয়ার্স (২ বলে ১) ব্যর্থ হওয়ার পরেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি ব্যাঙ্গালুরুর।
মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চতুর্থ উইকেটে ১৪৪ রান যোগ করেন হেটমায়ার এবং গুরকিরাত সিং। হেটমায়ার ৪৭ বলে ৭৫ (৪ চার ও ৬ ছক্কা) এবং গুরকিরাত খেলেন ৪৮ বলে ৬৫ রানের ইনিংস (৮ চার ও ১ ছয়)। হায়দরাবাদের বোলিং তারকা রশিদ খান ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা আর মার্টিন গাপটিল। ২৭ বলে তারা গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
১১ বলে ২০ করে ফেরেন ঋদ্ধিমান। ২৩ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ৩০ করেন গাপটিল। এরপর দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে রানের গতি হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। মাঝে বিজয় শঙ্কর ১৮ বলে ২৭ করে আউট হন।
পরের সময়টায় দলকে একাই টেনে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। হায়দরাবাদ অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। ৪৩ বলের ইনিংসে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে ২৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
এসএএস/এমএস