আবারও পরিবর্তন আনা হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সিতে
বিশ্বকাপের জার্সি উম্মোচন করার পর সেটা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানিয়েছিলেন, আইসিসির অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা জার্সি পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। ৩০ এপ্রিল নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জার্সির নতুন ডিজাইনও দেখিয়েছিলেন সাংবাদিকদের।
তবে, বিসিবি সভাপতির দেখানো সেই জার্সির ডিজাইনও থাকছে না শেষ পর্যন্ত। তৈরি করা হয়েছে আরও একটি ডিজাইন। আরও একটি পরিবর্তন এনে নতুন ডিজাইনের জার্সির ছবি আজ গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে বিসিবি। সেই মেইলেই তারা জানিয়েছে এ তথ্য।
মোট দুই দফা পরিবর্তন করা হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। সর্বশেষ চূড়ান্ত হওয়া ডিজাইন অনুসারে শুধুমাত্র লাল রঙ থাকছে জার্সির বুকে। প্রথম দফা পরিবর্তনের পর ডিজাইনে দেখা গিয়েছিল জার্সির হাতায় লাল রং। অর্থ্যাৎ জাতীয় পতকার আদলেই লাল আর সবুজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন জার্সির ডিজাইন।
এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি দলকেই রাখতে হচ্ছে বিকল্প জার্সি। ফুটবলের মত এটাকে অ্যাওয়ে জার্সিও বলা যায়। আইসিসির বেধে দেয়া নিয়মের কারণেই সবুজ জার্সির বুকে লাল রঙয়ের ঠিক উল্টো, অর্থ্যাৎ লালের বুকে সবুজ রং থাকছে বিকল্প জার্সিতে।
মূল জার্সির লালের মধ্যে সাদা অক্ষরে লেখা থাকবে বাংলাদেশ। জার্সির পেছনে থাকবে সাদা রঙয়ে জার্সি নাম্বার এবং খেলোয়াড়ের নাম। বিকল্প জার্সিতেও একই অবস্থা। বুকের ওপর লালের মধ্যে সাদা রঙয়ে থাকবে দেশের নাম। পেছনে সাদা রঙয়ে জার্সি নম্বর এবং খেলোয়াড়ের নাম।
বিসিবি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়েছে, তারা প্রথমে সবুজ জার্সির ওপর লাল রঙয়ে দেশের নাম, পেছনে লাল রঙয়ে খেলোয়াড়ের নাম এবং জার্সি নাম্বার দিয়েছিল। কিন্তু আইসিসি তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছে লালের পরিবর্তে দেশের নাম, জার্সি নাম্বার এবং খেলোয়াড়ের নাম সাদা রঙয়ে লেখার জন্য।
সেই পারমর্শের আলোকেই লাল বাদ দিয়ে সাদা রঙয়ে লেখা হয় দেশের নাম, জার্সি নম্বর এবং খেলোয়াড়ের নাম। কিন্তু জার্সির মধ্যে লালের সংমিশ্রন রাখার স্বার্থে বিসিবি সেই জার্সিতে পরিবর্তন নিয়ে আসে। পরিবর্তিত জার্সি আবার আইসিসির অনুমোদনও পেয়েছে ইতিমধ্যে।
আইএইচএস/এমকেএইচ