ইংল্যান্ডেও ‘সোজা ব্যাটে’ খেলতে চাই : সৌম্য
উইকেটের সামনে এক-দুই পা বেরিয়ে দুম করে হাওয়ায় উড়িয়ে লং অন, লং অফের দিকে মারার সামর্থ্য আছে তার- তা সবারই জানা। তবে মাঝে একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছিল উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মিড উইকেট বাউন্ডারিতে তেড়েফুঁড়ে স্লগ করা খেলার।
সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুই ম্যাচে ওয়াসিম জাফরের পরামর্শে এ প্রবণতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন সৌম্য সরকার। প্রথমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১৪ চার ও ২ ছক্কার মারে ১০৬ রানের ইনিংসে পুরোটা সময় সোজা ব্যাটেই খেলেছেন তিনি।
পরের ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে ১৬ ছক্কার মারে খেলেন ইতিহাসগড়া ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। যে ইনিংসে বেশিরভাগ ছক্কাই ছিলো লং অফ, লং অন বাউন্ডারিতে। মিড উইকেটে পুল শটগুলো খেলেছেন যতোটা সম্ভব মাটিতে রেখে।
সোজা বাংলায় ক্রস ব্যাটে খেলার প্রবণতা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিতই দিয়েছেন লিগের শেষ দুই ম্যাচে। যা তিনি চলমান রাখতে চান ইংল্যান্ডে আসন্ন বিশ্বকাপেও। আজ (বুধবার) আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে জাতীয় দলের সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন সৌম্য সরকারও।
বিমানবন্দরে বসেই কথা বলেছেন জাগোনিউজের সঙ্গে। কুশল বিনিময়ের পর সৌম্য জানান প্রিমিয়ার লিগে নিজের পরিবর্তনে তিনি সন্তুষ্ট। এটি ধরে রাখতে যান ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপেও। যাতে করে দলের প্রয়োজন মেটানো যায় শতভাগ।
সৌম্যর ভাষ্যে, ‘আমি লিগের শেষ দুইটা ম্যাচে যে অ্যাপ্রোচ, স্টাইল ও টেকনিক মেনে ব্যাটিং করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। বড় ইনিংস খেলার কারণে, নিজের ব্যাটিংয়ে মনে হয়েছে এটা ঠিক আছে। আমি সেই অ্যাপ্রোচ ও অ্যাপ্লিকেশন রাখতে চাই। সুযোগ পেলে দলের প্রয়োজন মেটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
তবে সৌম্য নিজের প্রতিটা যতোটা সন্তুষ্টই হন না কেন, বাস্তবতা হলো ইংল্যান্ডের উইকেটের সঙ্গে বিকেএসপির খরখরা ব্যাটিংয়ের উইকেটের রয়েছে বিস্তর ফারাক। বিলেতি কন্ডিশনে পেসারদের জন্য সবসময়ই থাকবে বিশেষ কিছু, সেটা যতোই ব্যাটিং উইকেট দেয়া হোক না কেন।
ফলে বিকেএসপির মতো করে লং অন, লং অফের ওপরে উইকেট ছেড়ে কিংবা মিডউইকেটে মাটিতে নামিয়ে শট খেলাটা অতোটা সহজ হবে না বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের জন্যই। তবে সামর্থ্যের ঘাটতি নেই সৌম্যদের। শুধু প্রয়োজন নিজের শটের ভাণ্ডার এবং ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করা।
এআরবি/এসএএস/জেআইএম