বিশ্বকাপই তরুণদের তারকা বানাবে : আশরাফুল
অভিজ্ঞতার দিক থেকে আসন্ন বিশ্বকাপে অনেক দলের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাতেও পঞ্চপান্ডবসহ রুবেল হোসেনরা এগিয়ে থাকবেন অন্য দলগুলোর তারকা খেলোয়াড়ের চেয়ে। কিন্তু অভিজ্ঞদের ভিড়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছে কচিকাঁচাদেরও আসর।
সপ্তাহ দেড়েক আগে বিশ্বকাপের জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, তাতে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার ৮ জন এবং প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চ মাতানোর জন্য ডাক পেয়েছেন আরও ৭ জন।
তবে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুনরা। ফলে বিশ্বকাপে সাত নতুন খেলোয়াড় থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক ও একসময়ের তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ আশরাফুল।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি লাউঞ্জে বসে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সম্ভাবনার ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেন আশরাফুল। যেখানে তিনি জানান মূলত বিশ্বকাপের মধ্য দিয়েই তরুণরা তারকায় পরিণত হয়।
পুরো ক্রিকেট বিশ্বের চোখ বাংলাদেশি তরুণদের ওপর থাকবে জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘বিশ্বকাপই আসলে প্লেয়ারদের স্টার বানায়। এখানে যদি আপনি ভালো খেলতে পারেন দেশের জন্য নাম হবে, নিজের জন্য নাম হবে। যেই ৭ জনের নাম হচ্ছে ওরা কিন্তু অলরেডি বাংলাদেশের জন্য সুপারস্টার। ওরা কিন্তু নিজেদের প্রমাণ করেছে, এই লেভেলে পারফর্ম করেছে।’
‘এখন জাস্ট আরেকটা স্টেপ, যেখানে পুরো বিশ্ব ক্রিকেট ফলো করবে বাংলাদেশকে এবং এই প্লেয়ারগুলোকে। এই প্লেয়ারদের জন্য শুভকামনা রইলো। ওরা যেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে এটাই আশা থাকবে। উইকেটগুলো খুব চমৎকার থাকবে ব্যাটিংয়ের জন্য। যারাই সুযোগ পাবে যেন বড় বড় ইনিংস খেলে’- আরও বলেন আশরাফুল।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলে দীর্ঘ সফর হওয়ায় ‘হোমসিকনেস’ আসতেই পারে ক্রিকেটারদের, যা মানছেন আশরাফুলও। সফরের শেষ দিকে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থায় এটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আশরাফুলের ভাষ্য, ‘আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর মনে হয় ৮-১০ দিনের গ্যাপ আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ওই সময়টা যদি দেশে ফিরে আসতে পারত, তাহলে ভালো হত। এমনি এই বিশ্বকাপে সবার সাথে সবাই খেলবে। নয়টা ম্যাচ, দেড় মাসের ট্যুর। ওয়েদারের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য হয়তো থাকতে হবে আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর। কিন্তু আসতে পারলে মনে হয় ভালো হত। আমাদের মধ্যে এটা আছে। লম্বা সময় দেশের বাইরে, শেষের দিকে প্রভাব ফেলে।’
এসএএস/এমকেএইচ