জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী : কোহলির কারণেই বিশ্বকাপ জিতবে না ভারত
বিশ্বকাপের ১২তম আসর দরজায় দাঁড়িয়ে। যে আসরে টপ ফেবারিট মনে করা হচ্ছে দুটি দলকে-স্বাগতিক ইংল্যান্ড আর ভারত। কিন্তু সবাই এই দুই দলকে এগিয়ে রাখলেও খোদ ভারতেরই বিখ্যাত জ্যোতিষী গ্রিনস্টোন লোবো গণনা করে পেয়েছেন, এবার বিশ্বকাপ জিততে পারবে না টিম ইন্ডিয়া এবং সেটা বিরাট কোহলির কারণেই।
সম্প্রতি লোবোর লেখা 'হাউজেট' নামক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক দিলিপ ভেঙ্গসরকার। লোবো জানান, তিনি গণনা করে পেয়েছেন, কোহলির জন্ম ১৯৮৮ সালে হওয়ায় এবার বিশ্বকাপ জিততে পারবে না ভারত।
লোবো বলেন, 'আমি গণনা করে যতটুকু পেয়েছি তাতে বিরাট কোহলির জন্ম ১৯৮৮ না হয়ে ১৯৮৬ বা ১৯৮৭ হওয়া দরকার ছিল।'
মুম্বাইয়ের বিখ্যাত এই জ্যোতিষী আরও যোগ করেন, 'আমি বিরাটের বাল্যকালের কোচ রাজকুমার শর্মাকে কল করে নিজের উদ্বেগের কথা জানাই। জানাই যে কোহলির সত্যিকারের জন্ম যদি ১৯৮৮ সালে হয়, তবে ভারত সম্ভবত বিশ্বকাপ জিততে পারবে না। আমার অন্ধ বিশ্বাস, ভারতীয় অধিনায়কের সত্যিকারের জন্মতারিখ ১৯৮৬ বা ১৯৮৭ পাব। তিনি (কোহলির কোচ) এক মিনিট চুপ ছিলেন, পরে হ্যাঁ বলেন।'
কোচের জবাব ছিল এমন, 'তাহলে কি আপনি বলছেন বিশ্বকাপ জিততে হলে আমাদের অধিনায়ক বদল করতে হবে?'
আসলে সমস্যা আছে আরও একটা। শুধু কোহলির জন্মতারিখ নয়। লোবো গবেষণা করে পেয়েছেন, ধোনি এই বিশ্বকাপ দলে থাকলে শিরোপা জিততে পারবে না ভারত। তিনি বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে আমরা হয়তো বিশ্বকাপ জিততে পারব যদি ধোনি এই দলে না থাকেন।'
ধোনিকে নিয়ে তার গণনায় নেতিবাচক ফল এসেছে। লোবো আরও বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ব্যাটসম্যান ধোনিকে নিয়ে। যাই হোক, আমি এটা অপছন্দ করলেও, একজন ভারতীয় জ্যোতিষী হিসেবে আমাকে আবেগের উর্ধ্বে থেকে বলতে হবে যে, আমি আসলে দেখছি যে ভারতীয় দলে ধোনির উপস্থিতি দলটিকে আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে। ধোনির ভাগ্য ভালো ছিল কিন্তু এবারের সময়টা তার নয়।'
এর আগে বিশ্বকাপ নিয়ে লোবোর বেশ কয়েকটি ভবিষ্যতবাণী সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১১ এবং ২০১৫ সালে সঠিক চ্যাম্পিয়ন নির্বাচন করেছিলেন। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত এবং ২০১৫ সালে মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়াকে চ্যাম্পিয়ন বলেছিলেন তিনি। তবে এবার যেন লোবোর ভবিষ্যতবাণী ফলে না যায়, ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা নিশ্চয়ই সে প্রার্থনাই করছেন!
এমএমআর/জেআইএম