সাকিবের মুখে লম্বা দাড়ি : শুধুই ছবি নাকি প্রতিবাদ?
সাকিব আল হাসানের মুখে লম্বা দাড়ি, একটা ক্লোজ শট সেলফি। গাড়িতে বসা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এমন একটি ছবি আজ (শুক্রবার) সাকিবের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট হয়েছে, যেখানে ক্যাপশন ছিল-জুমা মোবারক।
আজ পবিত্র জুমার দিন। অনেকেই 'জুমা মোবারক' লেখা ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মতো একজন তারকা যখন একটি ছবি পোস্ট করবেন, সেটা নিয়ে নানারকম আলোচনা তো থাকবেই!
বর্তমানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলতে ভারতে আছেন সাকিব। দিন কয়েক আগে একটি ম্যাচও খেলেছেন। সাকিবের মুখে এত বড় দাড়ি দেখা যায়নি। অল্প সময়ের ব্যবধানে এত বড় দাড়ি রাখাও সম্ভব নয়। স্বভাবতই বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছেন, এই ছবিটি অনেক পুরোনো।
অনেকে এমন দাড়িতে সাকিবকে দেখে প্রশংসা করেছেন, অনেকে আবার পুরোনো ছবি বলে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলছেন এটা নকল দাড়ি। খেপে গিয়ে অনেকে আবার লিখেছেন, ইসলাম ধর্মের এমন একটি আদব নিয়ে মজা করা সাকিবের ঠিক হয়নি।
তবে আরেকটা শ্রেণিও আছে, যারা এর মধ্যে অন্তর্নিহিত তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছেন এবং সেটাকেই যথেষ্ট যৌক্তিক মনে করছেন। তারা মনে করছেন, এটা সাকিবের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদ।
কিসের প্রতিবাদ? সম্প্রতি দাড়ি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে পরিচালিত এই গবেষণায় পুরুষের দাড়ি নিয়ে ভয়াবহ এক ফলাফল দেখানো হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়, কুকুরের পশমে যে পরিমাণ জীবাণু থাকে, মানুষের দাড়িতে নাকি তার চেয়ে বেশিই থাকে। হার্সল্যান্ডেন নামক একটি নামকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গবেষণাটি করা হয়।
এই গবেষণার পর প্রশ্ন উঠেছে, কুকুরের পশম কি মানুষের দাড়ির চেয়ে নিরাপদ? যদিও এই গবেষণা কাদের উপর চালানো হয়েছে সেটি জানানো হয়নি। পশ্চিমা সমাজে কুকুরের সঙ্গে বসবাস করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে সেখানকার দাড়িওয়ালা পুরুষদের উপর চালানো গবেষণায় এমন ফলাফল আসাও অবাক করার মতো কিছু নয়।
তবে যেহেতু দাড়িকে মুসলমানরা অনেক সম্মানের একটা আদব মনে করে। তাই এমন গবেষণার ফল প্রকাশের পর মুসলমানদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ আসছে বেশ করেই। সাকিবও কি সেই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই দাড়ি মুখের ছবি দিলেন?
সাকিব নিজে অবশ্য পরিষ্কার করে কিছু এখনও বলেননি। তবে তার মতো একজন বিশ্বসেরা তারকা এমন একটি ছবি কোনো কারণ ছাড়াই পোস্ট করেছেন, সেটাও আবার ভাবা ঠিক হবে না।
এমএমআর/এমকেএইচ