প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের তারকারা কেমন করলেন
আইপিএল খেলার জন্য সাকিব আল হাসান দেশের বাইরে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন না এবারের প্রিমিয়ার লিগে। 'পঞ্চপাণ্ডবে'র বাকি তিন পাণ্ডব তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে না খেলে ছিলেন বিশ্রামে। এর বাইরে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবাই কম বেশি খেলেছেন।
এর মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহীরা অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছেন। আর ইনজুরি আক্রান্ত মোস্তাফিজুর রহমান (১ ম্যাচে ৩ উইকেট) আর রুবেল হোসেন (৬ ম্যাচে ৭ উইকেট) হাতে গোনা কিছু ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।
এর বাইরে জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়েও আলোচনায় থাকা ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদও প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন। চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন খেলেছেন ৩টি ম্যাচ, নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এনামুল হক বিজয় ১৬ ম্যাচের সব কটিই খেলেছেন। ৩ সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৮০ গড়ে করেছেন ৫৫২ রান। ইমরুল কায়েস একটি সেঞ্চুরি পেলেও বাকি ইনিংসগুলো ব্যাট হাতে তেমন ভালো করতে পারেননি।
অবাক করার বিষয় হলো, ডিপিএলের এবারের আসরে সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যেও নেই জাতীয় দলের কোনো ব্যাটসম্যান। এটুকু শুনে আবার ভাববেন না, দেশের তারকা ব্যাটসম্যানরা বুঝি হাতে গোনা অল্প কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাপারটা মোটেই তেমন নয়।
বিশ্বকাপ দলে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন ১৬ ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন। সৌম্য সরকার খেলেছেন ১৩টি, সাব্বির রহমান ১৪টি, মোহাম্মদ মিঠুন ১০টি আর লিটন দাস খেলেছেন ৮টি ম্যাচ।
১৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে ৫১১ রান তুলে সৌম্য আছেন ১২ নাম্বারে, মোসাদ্দেক ১৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৪৮৮ রান। আবাহনী অধিনায়ক শেষ করেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ১৪ নাম্বারে থেকে।
এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ১০ ম্যাচে ৪৬ গড়ে ৩২২, সাব্বির রহমান ১৪ ম্যাচে ৩১.৭০ গড়ে ৩১৭, লিটন দাস ৮ ম্যাচে ৩৫.৮৭ গড়ে করেছেন ২৮৭ রান।
বোলিংয়ে জাতীয় দলের তারকাদের মধ্যে সেরা পাঁচে আছেন কেবল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৩ ম্যাচে ১৯.৮৪ গড়ে ২৫ উইকেট নিয়েছেন আবাহনীর এই পেসার। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২ বার।
আট নাম্বারে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৪ ম্যাচে ২৪.৬৬ গড়ে ২১ উইকেট নিয়েছেন আবাহনী পেসার। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবার। এছাড়া সৌম্য সরকার ১৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট, মোসাদ্দেক হোসেন ১৬ ম্যাচে ১২ উইকেট, আবু জায়েদ রাহী ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১২ উইকেট।
এমএমআর/এমকেএইচ