মাশরাফির বোলিং তোপ, শিরোপা জিততে আবাহনীর চাই ৩১৮
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেডকে যেকোনো ব্যবধানে হারালেই মিলবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা, হেরে গেলে অপেক্ষা করতে হবে রূপগঞ্জের পরাজয়ের। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে ম্যাচের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরে শেষে আবার নেন জোড়া উইকেট।
তবু ইনিংস শেষে তানবীর হায়দারের ক্যারিয়ার সেরা ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৩১৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলেছে শেখ জামাল। জাতীয় দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ৭ ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামা আবাহনীকে শিরোপা ধরে রাখতে হলে করতে হবে ৩১৮ রান।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রানবন্যার কথা মাথায় রেখে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শেখ জামাল। প্রথমে মাশরাফি এবং পরে মোসাদ্দেক-মিরাজদের বোলিং তোপে মাত্র ৮৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান। মনে হচ্ছিলো অল্পেই গুটিয়ে যাবে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
কিন্তু না! প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইলিয়াস সানি এবং তানবীর হায়দার। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৯১ রান। ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৬ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইলিয়াস সানি। সপ্তম উইকেটে ফের জুটি বাঁধেন তানবীর হায়দার, এবার সঙ্গী হিসেবে পান মুন্সীগঞ্জের ছেলে মেহরাব হোসেনকে।
দুজন মিলে রান করতে থাকেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তাই তো ৯৮ রানের সপ্তম উইকেট জুটি গড়তে তাদের খরচ হয় মাত্র ৮৫ বল। হাফসেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৩৬ বলে ৪৪ রানে ফেরেন মেহরাব।
তবে ঠিকই নিজের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তানবীর হায়দার। শেষদিকে আর কেউই তেমন সঙ্গ না দিলেও একার চেষ্টায় শেখ জামালকে ৯ উইকেটে ৩১৭ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। মাত্র ১১৫ বল খেলে ১০ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তানবীর হায়দার।
আবাহনীর পক্ষে বল হাতে ১০ ওভারে ১ মেইডেনের সাহায্যে ৫৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মাশরাফি। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং সৌম্য সরকার নেন ১টি করে উইকেট।
এসএএস/এমকেএইচ