বন্ধ জেট এয়ারওয়েজ, শঙ্কায় ভারতের বিশ্বকাপ যাত্রা
খালি চোখে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি ওয়ানডে বিশ্বকাপের। সংখ্যার হিসাবে সময়টা পাক্কা ৩৯ দিনের। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বকাপের জন্য মাঠের প্রস্তুতি ছাড়াও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা সেরে নিচ্ছে আইসিসি এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলো।
আর তা করতেই বাধার সম্মুখীন হলো বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড যাওয়ার জন্য জেট এয়ারওয়েজের বিজনেস ক্লাস টিকিট বুকিং করে রেখেছিল বিসিসিআই। সব ঠিক থাকলে আগামী ২২ মে এ বিমানেই তৃতীয় বিশ্বকাপ মিশনের যাত্রা শুরু করতো বিরাট কোহলির দল।
কিন্তু গত ১৭ এপ্রিল (বুধবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিজেদের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির বিমান পরিচালনা কোম্পানি জেট এয়ারওয়েজ। গত কয়েক মাস ধরেই তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছিল এ বিমান সংস্থাটি। যার জেরে সেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
এতে কর্মহীন হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। একই সঙ্গে সমস্যায় পড়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াও (বিসিসিসিআই)। কারণ তাদেরও যে টিকিট করা ছিল জেট এয়ারওয়েজেরই।
এখন এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শঙ্কার মুখে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ যাত্রা। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো বিমানের ৩০টি বিজনেস ক্লাস টিকিট জোগাড় করা চাট্টিখানি কথা নয়।
তবে বিসিসিআই আশাবাদী। তারা মনে করছেন সময় মতোই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মুম্বাই মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে আমরা আশাবাদী, সময় মতোই বিশ্বকাপে পৌঁছে যাবে দল।’
এদিকে জেট এয়ারওয়েজের বিকল্প হিসেবে ফ্লাই এমিরেটস এবং ভার্জিন এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিসিসিআই। যদি ৩০টি বিজনেস ক্লাসের টিকিট নাও পাওয়া যায়, অন্তত ২৫টি বিজনেস ক্লাসের টিকিট জোগাড় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যাতে ক্রিকেটারদের, কোচিং স্টাফদের এবং ফিজিও টিমকে একসঙ্গে বিজনেস ক্লাসেই পাঠানো যায় ইংল্যান্ডে।
এসএএস/এমকেএইচ