আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে চমক
আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার শেষ সময় ২৩ এপ্রিল। এরই মধ্যে নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপে থাকা ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের প্রথম ৮ দেশ। বাকি ছিলো কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান।
ক্যারিবীয়রা এখনো পর্যন্ত স্কোয়াড না দিলেও চমক রেখে আজ নিজেদের দল ঘোষণা করলো আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ায় ভাবা হয়েছিল আসগর আফগানকে রাখা হবে না বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।
তবে গুলবদিন নাইবের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে অভিজ্ঞ আসগর আফগানের। এছাড়া স্কোয়াডে চমক বলতে ডানহাতি পেসার হামিদ হাসানের সংযোজন। এই ৩১ বছর বয়সী পেসার আফগানদের হয়ে শেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর হামিদ হাসান খেলেননি কোন প্রথম শ্রেণি, টি-টোয়েন্টি বা লিস্ট 'এ' ম্যাচও।
হামিদ হাসানের অন্তর্ভূক্তি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক দৌলত খান আহমেদজাই বলেন, ‘অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার হামিদ হাসানের কাম ব্যাক আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ, আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। সামনের কিছু প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে আমরা তাঁর ফর্ম ও ফিটনেস পরখ করে দেখবো।’
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া ট্রেনিং ক্যাম্পের ভিত্তিতেই ঠিক করা হয়েছে আফগানদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। দলে থাকার সম্ভাবনা জাগিয়েও জায়গা পাননি ইকরাম আলি খিল, করিম জানাত এবং সৈয়দ শিরজাদ। তবে বিশ্বকাপের জন্য রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে তাদের।
এদিকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড কিংবা বিশ্বকাপের জন্য রিজার্ভ তালিকাতেও জায়গা হয়নি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষে সিরিজে খেলা চার ক্রিকেটারের। তারা হলেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জাভেদ আহমাদি, বাঁহাতি চায়নাম্যান জহির খান এবং বাঁহাতি পেসার শাপুর জাদরান ও ফরিদ আহমেদ।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক হিসাবে এটা আমার দায়িত্ব একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দল নির্বাচন করা। এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ ছিলো যা আমাদেরকে উতরে যেতে হয়েছে। অভিজ্ঞতা, ফিটনেস, টিম ব্যালান্স, সাম্প্রতিক ফর্ম এবং কন্ডিশন বিবেচনা করেআমরা সেরা স্কোয়াডই নির্বাচন করেছি।’
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড
গুলবদিন নাইব, মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), নুর আলি জাদরান, হযরতউল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, আসগর আফগান, হাশমতউল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, সামিউল্লাহ শিনওয়ারি, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, দৌলত জাদরান, আফতাব আলম, হামিদ হাসান ও মুজিব উর রহমান।
এসএএস/এমকেএইচ