ধোনি ম্যাজিক, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা এবং কোহলিদের জয়
কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সদের আটকে রাখতে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন বোলাররা কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচ চলে যায় হাতের বাইরে, তবু চেন্নাইয়ের ছিলেন একজন, মহেন্দ্র সিং ধোনি। যিনি একা হাতে দলকে দেখান জয়ের স্বপ্ন। ব্যাট হাতে রীতিমত ম্যাজিক দেখালেন তিনি। তবে আটকে যান একটুর জন্য।
রোববার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যকার ম্যাচের সংক্ষিপ্ত চিত্রটা এমনই। যেখানে কোহলিদের ১৬১ রানের জবাবে ধোনির চেন্নাই থেমেছে ১৬০ রানে। মাত্র ৪৮ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি ধোনি।
ম্যাচের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ২৬ রান। চেন্নাইয়ের আশা তখন ধোনি। উমেশ যাদভের করা প্রথম তিন বলে ৪, ৬ এবং ৬ হাকিয়ে ১৬ রান নিয়ে নেন তিনি। পরের বলে আসে ২ রান। আর পঞ্চম বলে আবার ছক্কা মেরে সমীকরণটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন ধোনি।
শেষ বলে করতে হবে ২ রান। স্ট্রাইকে আগের পাঁচ বলেই ২৪ রান নেয়া ধোনি। ঠিক তখনই নিজের চতুরতা দেখান উমেশ। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা ধোনিকে করেন লেগকাটার, যাতে পরাস্ত হন ধোনি, বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
এদিকে ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করার প্রচেষ্টায় দৌড় দেন শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেলের সজাগ তৎপরতার কারণে রানটি আর পুরো করতে পারেননি শার্দুল। সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে ব্যাঙ্গালুরুকে ১ রানের জয় পাইয়ে দেন ব্যাট হাতে ৫৩ রানের ইনিংস খেলা পার্থিব।
চেন্নাইয়ের ইনিংসের বাকি গল্পটা পুরোটাই ব্যর্থতার। প্রথম ওভারেই ডেল স্টেইনের জোড়া শিকারে পরিণত হন শেন ওয়াটসন (৩ বলে ৫) এবং সুরেশ রায়না (১ বলে ০)। এছাড়া ফাফ ডু প্লেসিস ১৫ বলে ৫, কেদার যাদভ ৯ বলে ৯ এবং রবিন্দ্র জাদেজা করেন ১২ বলে ১১ রান।
বলার মতো কেবল আম্বাতি রাইডুর ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৯ রান। ছয় নম্বরে নেমে অধিনায়ক ধোনি খেলেন ৫ চার ও ৭ চারের মারে ৪৮ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবু তার একার এ প্রচেষ্টা বিফলে যায় শেষ ওভারের নাটকীয়তায়। ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।
এর আগে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
পরে আর এ ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। দ্বীপক চাহার, রবিন্দ্র জাদেজাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি কোহলির দল। দশম ম্যাচে ৮ নম্বর জয় পেতে চেন্নাইয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬২ রান।
১১ রানের মাথায় কোহলির বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েন পার্থিব প্যাটেল এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাঙ্গালুরুর পুরো ইনিংসের হাইলাইটস বলতে এটুকুই। ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন ডি ভিলিয়ার্স।
এরপর আকশদ্বীপ নাথ ২০ বলে ২৪, মার্কস স্টয়নিস ১৩ বলে ১৪, মইন আলি ১৬ বলে ২৬ এবং পবন নেগি করেন ৬ বলে ৫ রান। তবে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম থেকে ৩৭ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল।
চেন্নাইয়ের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন দ্বীপক চাহার, রবিন্দ জাদেজা এবং ডোয়াইন ব্রাভো। ইমরান তাহির নেন অন্য উইকেটটি।
এসএএস/এমকেএইচ