ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোর ঝড়ে টানা পঞ্চম হার কলকাতার
মারকাটারি টি-টোয়েন্টির যুগে ১৫৯ রান তেমন কোনো বড় সংগ্রহ নয়। তাই বলে ঠিক এতোটা ছোটও হয়তো ভাবেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ১৫ ওভারেই তাদের করা ১৫৯ রান টপকে গেছে সানইরাইজার্স হায়দরাবাদ। পেয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। আর কলকাতার এটি টানা পঞ্চম পরাজয়।
হায়দরাবাদের রান তাড়ার পুরো কৃতিত্বটাই দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নারের। এ দুই ইংলিশ ও অসি ব্যাটসম্যান জুটিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছে কলকাতার বোলাররা। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা যোগ করেন ১৩১ রান, তাও কিনা মাত্র ১২.২ ওভারে।
ইনিংসের এক পর্যায়ে মাত্র ৭ ওভারেই ৮০ রান করে ফেলে হায়দরাবাদ। মনে হচ্ছিলো হয়ত ১২-১৩ ওভারেই জিতে যাবে তারা। তবে এরপর খানিক দেখেশুনে খেলায় বাকি ৮০ রান করতে তাদের খেলতে হয় আরও ৮ ওভার।
টানা চতুর্থ এবং চলতি আইপিএলে সপ্তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে ওয়ার্নার আউট হন ৬৭ রান করে। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসটিতে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো।
১৫তম ওভারের শেষ তিন বলে পিয়ুশ চাওলাকে ৪, ৬ ও ৬ মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে। চলতি আইপিএলে নিজের তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসটিকে ৭ চারের সঙ্গে ৪ ছয়ের মারে সাজান বেয়ারস্টো।
এর আগে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। টানা অষ্টম ম্যাচে একাদশের বাইরেই থাকেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে ছাড়া খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হায়দরাবাদ।
উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৬ বলে ৪২ রান যোগ করেন ক্রিস লিন এবং সুনিল নারিন। তবে মাত্র ৮ বলে ২৫ রান করে নারিন আউট হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়দরাবাদ। লিনও ঢুকে যান খোলসে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেললেও ধীর ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে করেন ৫১ রান।
আন্দ্রে রাসেল প্রমোশন চেয়ে চার নম্বরে ব্যাট করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও চারে ব্যাট করতে আসেন আগের ম্যাচে ৮৫ রান করা নিতীশ রানা। খেলেন ১১ বলে ১১ রানের ইনিংস। রাসেলকে চার নম্বরে তো নামায়ইনি কলকাতা। উল্টো ‘ডিমোশন’ দিয়ে পাঠিয়ে দেয় সাত নম্বরে।
আগের ম্যাচে রাসেল যেখানে নেমেছিলেন অর্থাৎ ছয়ে নেমে ২৫ বলে ৩০ রান করেন রিঙ্কু সিং। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাত নম্বরে নামলেও ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন রাসেল। ভুবনেশ্বর কুমারকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি আউট হন ৯ বলে ১৫ রান করে।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে গিয়ে থামে কলকাতার ইনিংস। হায়দরাবাদের পক্ষে বল হাতে রশিদ খান ১টি, ভুবনেশ্বর কুমার ২টি এবং খলিল আহমেদ নেন ৩টি উইকেট।
এসএএস/এমএস