তামিমের চোখে বিশ্বকাপের ফেবারিট এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনা
দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলও ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন শুধু শেষ সময়ের প্রস্তুতি। বলা হচ্ছে, ইতিহাসের সেরা দল নিয়ে এবার বিশ্বকাপে যাচ্ছে টাইগাররা। এমন একটি দলের উপর দেশের মানুষের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। এবারের টুর্নামেন্টে কতদূর যেতে পারে বাংলাদেশ, কারা এবার ফেবারিট-এসব নিয়েও বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে।
সাধারণ মানুষই যখন এতটা রোমাঞ্চিত, খেলোয়াড়দের কি অবস্থা বোঝাই যায়। বাংলাদেশ দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল সম্প্রতি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মানিগ্রামের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যা হয় আর কি! সেখানেও বিশ্বকাপে দলের সম্ভাবনা আর প্রতিপক্ষসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে হলো দেশসেরা ওপেনারকে।
তামিমের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই দল নিয়ে কতদূর যাওয়া সম্ভব? তার জবাব, ‘কতদূর যাওয়া সম্ভব এটা আমি বলতে পছন্দ করি না। কারণ ১০টা দল বিশ্বকাপ খেলছে। কোনো দল অংশগ্রহণ করার জন্য খেলছে না। সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্য। এটাই মাথায় রেখে যে আমরা জিততে চাই। যদি আমি বলি শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছি, তাহলে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমার কথা হল, আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাসটা নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
এবার মোটামুটি কম বিতর্কিত দল ঘোষণা হয়েছে। তারপরও বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর কিছু কথা হয়ই। কেউ হয়তো বলেন, অমুক থাকলে ভালো হতো, কারও মতে আবার আরেকজন।
এবারের স্কোয়াডকে কিভাবে দেখছেন তামিম? দেশসেরা ওপেনার মনে করেন, যাদের নেয়া হয়েছে তাদের নিয়ে সমালোচনা করা ঠিক হবে না। তাতে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে।
তামিমের ভাষায়, ‘আমার কাছে মনে হয় যেই স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যেই প্লেয়ারকেই নেয়া হোক না কেন, সবারই কিছু না কিছু যদি কিন্তু থাকবে। কিছু পছন্দ অপছন্দ থাকবে। এটাই নিয়ম। স্কোয়াড রেডি করা খুব সহজ জিনিস না। অবশ্যই এখানে কিছু প্লেয়ার আছে যারা খুব ভালো পারফর্ম করেছে কিন্তু সুযোগ হয়নি। আবার এমনো প্লেয়ার আছে যারা খুব ভালো করেছে এবং তাদের সুযোগও হয়েছে।’
‘আমার মনে হয় এখন কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হত, এই আলোচনা না করে যেই ১৫ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি ব্যাক করা। দিন শেষে এটা বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলে ভালো হত, এমন কিছু করলে হবে কি, যারা সুযোগ পেয়েছে তাঁরা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন মন ছোট না করে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা উচিত।’
ইংল্যান্ড তামিমের পছন্দের জায়গা। সেখানে বরাবরই ব্যাট হাতে স্বাচ্ছন্দ্য এই বাঁহাতি। সেই সঙ্গে অনেক প্রবাসী থাকায় বাড়তি দর্শক সমর্থনও পাওয়া যায় ইংলিশ কন্ডিশনে। তামিম এই দর্শক সমর্থনকে বড় পাওয়াই মনে করছেন। তবে তিনি নিজে আলাদা করে কোনো লক্ষ্য স্থির করেননি। দলের প্রয়োজন মেটানোই তার মূল লক্ষ্য।
তামিমের চোখে এই টুর্নামেন্টের ফেবারিট কে? আলাদা করে দুটি নাম বললেও নিজেদেরও গোনার বাইরে রাখতে নারাজ এই ওপেনার। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ভারত ফেভারিট। ইংল্যান্ডও ফেভারিট। এখানে অনেক টিমই আছে তাদের আপনি সহজে নিতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া আছে, পাকিস্তান আছে। আরও অনেক দল আছে। এটা নির্ভর করে ওই টুর্নামেন্টে কে ফর্মে আছে, দল হিসেবে। দেখি কি হয়, ক্রিকেটে যে কোনো কিছু কিছুই হতে পারে। এটা অনিশ্চয়তার খেলা। ৯৬ এ কেউ প্রত্যাশা করে নি শ্রীলঙ্কা জিতবে। আপনি জানবেন না, ক্রিকেট সবার জন্য কি চমক জমা করে রেখেছে।’
এমএমআর/জেআইএম