দলে সুযোগ পেতে নির্বাচকদের কাছে এসএমএস পাঠিয়েছিলেন তাসকিন!
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাননি ইনজুরির কারণে। স্কোয়াড ঘোষণার আগে থেকে আলোচনায় ছিলেন বেশ জোরেসোরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদ পুরোপুরি ফিট না হওয়া এবং ফর্মে ফিরতে না পারার কারণে নির্বাচকরা তার পরিবর্তে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ দিলেন আরেক সম্ভাবনাময়ী তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহীকে।
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার কারণে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদেই ফেলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তার চোখের পানির সংবাদ এবং ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। কান্নার সেই ভিডিও এবং ছবি তোলপাড় ফেলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার তাসকিন ভক্তরা একটা যুক্তি তুলে তার পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন এই বলে যে, অন্তত আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে তাকে রাখা যেতো! তাহলে বোঝা যেতো, বাকি এক-দেড় মাস সময়ের মধ্যে তিনি নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পেরেছেন। যদি সব ঠিক-ঠাক থাকতো, তাহলে হয়ত শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার একটা সম্ভাবনাও তৈরি হতো ।
কিন্তু নির্বাচকরা তাসকিনকে ১৭ জনের দলেও রাখলেন না। অর্থাৎ বিশ্বকাপের দলে শেষ মুহূর্তেও যোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এসব কারণেই মঙ্গলবার বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর, সেই দলে না থাকার কষ্টের কারণে চোখে পানি চলে এসেছিল তাসকিনের।
তবে, আজ ভেতরের যে খবর জানা গেলো, সেটা খুবই ভয়ঙ্কর। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য রীতিমতো লবিং করে গেছেন তাসকিন আহমেদ! সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের কাছে নিয়মিত ধর্না দিয়ে গেছেন তিনি। অনুরোধ-উপরোধ যা করার- সবই করেছেন তাসকিন। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তিনি মন গলানোর চেষ্টা করেছেন প্রধান নির্বাচক থেকে শুরু করে প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালকদের। এমনকি জানা গেছে, বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকেও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাসকিন।
বিসিবি এবং নির্বাচক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র থেকেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে জাগো নিউজ। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, অন্য নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, এমনকি বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকেও বিশ্বকাপের দলে রাখার অনুরোধ জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাসকিন।
তবে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে নির্বাচকরা সব ধরনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং মোহের ঊর্ধ্বে উঠে ক্রিকেটার বাছাই করেছেন। যে কারণে এবার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কহীন এবং সবচেয়ে সেরা দলটি ঘোষণা করতে পেরেছেন নির্বাচকরা। সুতরাং, তাসকিন কেন সুযোগ পাননি এ নিয়ে হয়ত তার ভক্ত-সমর্থকরা হা-হুতাশ করতে পারেন, কিন্তু সাধারণভাবে কোনো বিতর্ক নেই।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম