‘বিশ্বকাপে এশিয়ান দলগুলো ভালো করবে’
এশিয়ান দেশগুলো উপমহাদেশের বাইরে খেলতে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কন্ডিশনের কারণে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট উইকেটের সঙ্গে বিরূপ আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে বেশ ভোগান্তিই পোহাতে হয় দলগুলোর।
তবে ইংল্যান্ডে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই আবহাওয়াই এশিয়ান দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন স্বাগতিক দেশের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তার মতে এবারের বিশ্বকাপে আবহাওয়া বড় একটি ভূমিকা পালন করবে। যা কি-না এগিয়ে দেবে এশিয়ান দেশগুলোকে।
ক্রিকেটভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পিটারসেন বলেন, ‘আমি কোনো আবহাওয়াবিদ নই। তবে আমি নিশ্চিত করতে পারি যেসব দল ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে আসবে তাদের জন্য আবহাওয়া বড় একটি প্রভাবক হতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ইংল্যান্ডের গ্রীষ্ম মৌসুম অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এখন অনেক বেশি গরম পড়ে। তাই যারা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়ে আসবে তারাই এগিয়ে থাকবে। এমন আবহাওয়ার কারণে পিচের আচরণও যে বদলে যাবে তা একপ্রকার বলেই দেয়া যায়।’
এছাড়া যদি ঝড়ো বৃষ্টিও হানা দেয় মাঠে তবু খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন পিটারসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন খেলতাম তখন বৃষ্টি হলেই বুঝে যেতাম যে সেদিন আর খেলা সম্ভব নয়। এখন সব চালচিত্র বদলে গেছে। সব টেস্ট ভেন্যুতে সাবওয়ে সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। ফলে ঝড় হলেও দর্শকদের বাড়ি ফিরে যেতে হয় না। পিচে বাড়তি ময়েশ্চার যোগ হয়ে খেলা চলতে থাকে।’
এবারের বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে পাঁচটিই এশিয়ান। সাবেক তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। যেহেতু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে হবে বিশ্বকাপ, তাই এশিয়ার দলগুলো বাজি জিতে যাবে বলে বিশ্বাস পিটারসেনের।
তিনি বলেন, ‘২০০০ সালের দিকে ভারতের বিপক্ষে আমরা একটি টেস্ট খেলেছিলাম। শুরুতে সবুজ উইকেট থাকলেও দুইদিন পর উইকেট পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। শেষবারের গ্রীষ্মের মতো যদি অবস্থা থাকে তাহলে আমি বলব উপমহাদেশের দলগুলো বিশ্বকাপে দারুণ ফলাফল করতে পারে। তবে যদি সবুজ বা পেস সহায়ক উইকেট থাকে তাহলে ইংল্যান্ড দুর্দান্ত খেলবে।’
এসএএস/এমকেএইচ