অথচ হ্যাটট্রিক করেছেন, বুঝতেই পারেননি কুরান
সোমবার রাতে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতেছে কিংস এলেভেন পাঞ্জাব। প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ম্যাচ জয়ের জন্য এক পর্যায়ে ২১ বলে প্রয়োজন ছিলো ২৩ রান, হাতে ছিলো ৭টি উইকেট। সে অবস্থা থেকে পরবর্তী ১৭ বলে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪ রানে ম্যাচটি হেরেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
অবশ্য হেরেছে বললে ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কুরানের প্রতি অবিচারই করা হবে। পাঞ্জাবের বাঁহাতি এ পেস বোলিং অলরাউন্ডারের দূর্দান্ত বোলিংয়ের সামনেই মূলত দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধসের শিকার হয়ে ম্যাচ হেরেছে ১৪ রানের ব্যবধানে।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে ১০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন কুরান। পরে বল হাতে মাত্র ১৪ বলের স্পেলে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এর মধ্যে শেষের তিনটি উইকেট নিয়েছেন আবার টানা তিন বলে তথা করেছেন এবারের আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক।
১৮তম ওভারের শেষ বলে হার্শাল প্যাটেল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে কাগিসো রাবাদা ও সন্দ্বীপ লামিচানেকে ফিরিয়ে দিল্লিকে অলআউট করেন কুরান। কিন্তু এরই মাধ্যমে যে নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ হয়েছে সেটি বুঝতেই পারেননি ২০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। তিনি বলেন, ‘আমাকে কে যেনো তখন (শেষ উইকেটের পর) বলছিলো যে হ্যাটট্রিক হয়েছে আমার। আমি তখনো বুঝতে পারিনি। দর্শকদের উল্লাসের ভিড়ে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমি কখনো নিজের ব্যাপারে এসব ভাবিওনি।’
এসময় নিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কৃতিত্ব পুরোটাই নিজের সতীর্থ এবং অধিনায়ককে দেন কুরান। তিনি বলেন, ‘(রবিচন্দ্রন) অশ্বিন আমাকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে কীভাবে বোলিং করতে হবে। বিশেষ করে স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাপারে আমার ধারণাই ছিল না তারা কোথায় মারতে পারে। যে কারণে আমার অন্যদের জিজ্ঞেস করতে হয়েছে। তাই এটা সহজ ছিলো না। যেকোনো পক্ষেই যেতে পারতো। মোহাম্মদ শামির দুইটি ওভার গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করি আমরা জয়ের ধারায় থাকবো।’
এসএএস/জেআইএম