‘নিউজিল্যান্ডও আর নিরাপদ আশ্রয়স্থল রইল না’
নিউজিল্যান্ডকে মনে করা হতো শান্তির দেশ। ওই দেশে কেউ খেলতে গেলে কখনও নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগেনি। তাই নিরাপত্তারক্ষীরও প্রয়োজন পড়েনি। সেই সুনামটা নষ্ট হয়ে গেল শুক্রবারের রোমহর্ষক এক ঘটনায়। ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডও আর নিরাপদ আশ্রয়স্থল রইল না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ৪৯ জন মুসুল্লি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ওই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। হাত ছোঁয়া দূরত্ব থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তারা।
এমন ঘটনা নিউজিল্যান্ড তথা সব জায়গায়ই আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন হোয়াইট। কিউই ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা ভীতিকর। আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজনের পুরো দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দেবে এই ঘটনা। আমার মনে হয়, এখন সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। অবশ্যই আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। নিউজিল্যান্ড নিরাপদ, এই ভাবনাটা আর রইল না। আমাদের এখন থেকে খুব, খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে; কর্তৃপক্ষ এবং স্পোর্টিং অর্গানাইজেশনকে, অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
এই ঘটনার পর ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের সদস্যরাও দেশের বিমান ধরেছেন।
হোয়াইট মনে করছেন, ক্রিকেটাররা যেমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন, তাদের ঘাবড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘তারা ধাক্কা খাবে এটাই স্বাভাবিক। আর সবার মতো তারাও হতভম্ব। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ক্রাইস্টচার্চ এবং সেখানে গোলাগুলির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহানুভূতি জানাচ্ছে। আমরা স্তম্ভিত এবং আতঙ্কিত, নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডের জনগণও।’
এমএমআর/আরআইপি