আইসিসির দুই লাইনের সমবেদনা
সময়ের খানিক হেরফের হলেই ঘটতে পারতো ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। একসঙ্গে হারিয়ে যেতে পারতেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ৮-১০ জন ক্রিকেটার। অজ্ঞাত এক নারীর সতর্কবার্তায় প্রাণে বেঁচেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমরা।
কিন্তু প্রায় ৪০ জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে সন্ত্রাসী হামলায়। আজ (শুক্রবার) স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে হামলা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এক নাগরিক। সে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
শনিবারের ম্যাচের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ৫-৬ মিনিট বেশি ব্যয় হওয়ার কারণে মসজিদে পৌঁছতে ‘দেরি’ হয়ে যায় টাইগারদের। এটি যেনো আশির্বাদ হয়েই আসে দলের জন্য। কেননা এ দেরি হওয়ার কারণেই হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না ক্রিকেটাররা। নয়তো ঘটতে পারতো ক্রিকেট বিশ্বের জন্য ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা।
অথচ এত বড় ঘটনায় কি-না প্রায় ছয় ঘণ্টা যাবত নীরব ছিলো বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় হওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে আইসিসির আনুষ্ঠানিক বার্তা প্রকাশ পেতে বেজে গিয়েছে সন্ধ্যা প্রায় সোয়া সাতটা। তাও মাত্র ২ লাইনের দায়সারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব সেরেছে আইসিসি।
আনুষ্ঠানিক বার্তায় তারা লিখেছে, ‘ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় আমরা শোকাহত। এ হামলায় নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের জন্য আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। দুই দলের খেলোয়াড়, স্টাফ এবং ম্যাচ অফিশিয়ালরা সবাই নিরাপদে আছে এবং ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তে আইসিসির রয়েছে পূর্ণ সমর্থন।’
এসএএস/এমএস