অজ্ঞাত নারীর কল্যাণে বেঁচে গেলেন তামিম-মিরাজরা
সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের ডিনস ইভে মসজিদ আল নুরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। তবে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। জুমার ওয়াক্ত হওয়ায় সে মসজিদেই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা।
মসজিদে ঢোকার ঠিক আগমুহূর্তে অজ্ঞাত এক নারী এসে তামিমদের সতর্ক করে জানান যে মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি হচ্ছে, এখন ভেতরে যাওয়া ঠিক হবে না। সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশি সাংবাদিক জানিয়েছেন এমন তথ্য।
অজ্ঞাত সে নারী তখন গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন ঘটনাস্থলের রাস্তা দিয়েই। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। কিছুদূর এগুনোর পর তিনি যখন দেখতে পান বাংলাদেশ দলের বাস সে পথেই এগুচ্ছে, তখন সাথে সাথে জানান যে সামনে গোলাগুলি হচ্ছে, এগুনো ঠিক হবে না।
সে মহিলার সতর্কবার্তা শুনে তড়িঘড়ি করে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা এবং শুয়ে পড়ে মেঝেতে। খানিক পরেই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপদ হবে না ভেবে তামিম-মিরাজরা বাস থেকে বেরিয়ে হাগলি পার্ক দিয়ে চলে গিয়েছে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে।
আপাতত সেখানেই 'বন্দী' রয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তবে দলের কোচিং স্টাফ এবং দুই তরুণ সদস্য লিটন কুমার দাস ও নাঈম হাসান রয়েছেন টিম হোটেলেই। তাদেরকে সেখানেই থাকতে বলে দিয়েছেন দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছেন দেশে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে হামলায় অন্তত ২০-৩০ জন স্থানীয় নাগরিক আহত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। তারা জানাচ্ছে নিহতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। ধারণা করা হচ্ছে একসঙ্গে আরও বেশ কিছু স্থানে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল মাঠে শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এমতাবস্থায় শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে কি-না সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।
এসএএস/এমএস