ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধার করলেন ‘বোলার’ উদানা
ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নেমেই দলের উদ্ধারকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হলেন বাঁহাতি পেসার ইসুরু উদানা। তবে নিজের চেনা দায়িত্ব বোলার হিসেবে নয়, উদানা দলকে বাঁচিয়েছেন ব্যাট হাতে। তার ৫৭ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংসেই বলার মতো সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে লঙ্কানরা। পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি মূলত সান্ত্বনা প্রাপ্তির। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সান্ত্বনা পাওয়াও যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে শিষ্যদের। শেষদিকে ইসুরু উদানার ব্যাটে চড়ে ১৮৯ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে লঙ্কানরা।
নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র এক ইনিংসে। সে ম্যাচে ৯ বল খেলে ০ রানে অপরাজিত ছিলে উদানা। আজ দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাটিং পেয়ে যেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের বিপক্ষে একা হাতের এক অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৩১ বছর বয়সী এ পেসার।
তিনি যখন উইকেটে আসেন তখন মাত্র ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। এরপর শেষ তিন উইকেটে আরও ৯২ রান যোগ করেছে লঙ্কানরা। যার মধ্যে ৭৮ রানই এসেছে উদানার ব্যাট থেকে। দশম উইকেট জুটিতে কাসুন রাজিথাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছেন শ্রীলঙ্কার রেকর্ড ৫৮ রান।
ইনিংসের ২৫তম ওভারে উইকেটে এসে উদানা দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ৪০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। মাঝের সময়ে খেলেছেন ৫৭টি বল। এর মধ্যে ৭টি বল তিনি সীমানা ছাড়া করেছেন গড়িয়ে, ৪ বার মাঠ পার করেছেন হাওয়ায় ভাসিয়ে।
সবচেয়ে বেশি ঝড়টা গিয়েছে মাত্র পঞ্চম ওয়ানডে খেলতে নামা এনরিচ নর্ৎজের ওপর দিয়ে। তার এক ওভারে পরপর তিন ছক্কাসহ মোট ৪টি ছক্কা ও ২টি চার মেরেছেন উদানা। অথচ উদানার সামনে পড়ার আগে নর্ৎজের বোলিং ফিগার ছিল ৬-০-১৯-৩, যা শেষপর্যন্ত দাঁড়ায় ৮-০-৫৭-৩ এ!
উদানার ইনিংস বাদ দিলে বলার মতো কোনো রানই করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার বাকি ব্যাটসম্যানরা। আভিশকা ফার্নান্দো ২৯, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ২২, কুশল মেন্ডিস ২১ ও থিসারা পেরেরা ১২ ব্যতীত আর কেউই পারেননি দুই অঙ্ক ছুঁতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা পক্ষে এনরিচ নর্ৎজে ৩টি ও আন্দিল ফেলুকায়ো নিয়েছেন ২টি উইকেট। এছাড়া ডেল স্টেইন, লুঙ্গি এনগিডি, তাবারাইজ শামসি ও জেপি ডুমিনি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এসএএস/পিআর