ভারতের রানপাহাড় টপকে অস্ট্রেলিয়ার অবিশ্বাস্য জয়
জয়ের জন্য লক্ষ্য ৩৫৯ রান। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিঃসন্দেহে কঠিক একটি কাজ। তারওপর, জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ৩ রানে প্রথম উইকেট এবং ১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট চলে যায়, তখন তো জয়ের চিন্তাই করার কথা নয় কারো পক্ষে।
কিন্তু দলটির নাম অস্ট্রেলিয়া। হাতি মরলেও যে লাখ টাকা দাম থেকে যায়! অস্ট্রেলিয়ার দুর্দিন হয়তো এখন। কিন্তু নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকা অসিরা আজ মোহালিতে যেন ফিরিয়ে এনেছে তাদের সেই স্বর্ণযুগ। ভারতের করা ৩৫৮ রানকে আজ মামুলি প্রমাণ করে ছাড়লো তারা।
১৩ বল হাতে রেখেই শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়ানরা। পিটার হ্যান্ডসকম্বের অসাধারন সেঞ্চুরির পর শেষ মুহূর্তে অ্যাস্টন টার্নারের টর্নেডো গতির ব্যাটিং দিশেহারা করে তুলেছিল বিরাট কোহলিসহ মোহালির গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের। ৪৩ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন টার্নার। ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতায় ফিরলো অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচটি এখন পরিণত হলো ফাইনালরূপে।
জয়ের জন্য ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ইনিংসের ৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হন তিনি কোনো রান না করেই। এরপর দলীয় ১২ রানে আউট হয়ে যান শন মার্শও। তিনি করেন মাত্র ৬ রান।
এরপরই অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায় ওপেনার উসমান খাজা এবং চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা পিটার হ্যান্ডসকম্বের ব্যাটে। এ দুজনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১৯২ রানের অসাধারণ এক জুটি। মূলতঃ হ্যান্ডসকম্ব আর উসমান খাজার জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। যদিও মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়ে যেতে হয় উসমান খাজাকে। ৯৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৯১ রান।
উসমান খাজা আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি পূরণ করেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ১০৫ বলে ১১৭ রান করে আউট হন তিনি। ইনিংসটি সাজান ৮ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায়। এরপর মাঠে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তোলার ইঙ্গিত দিলেও ১৩ বলে মাত্র ২৩ রান করে আউট হয়ে যান।
তবে অ্যাস্টন টার্নার মাঠে নেমে উসমান খাজা এবং হ্যান্ডসকম্বের সাজানো বাগানকে আবারও ঠিক করে নেন। বরং আরও বেশি ঝড় তোলেন ভারতীয় বোলারদের ওপর। ৫টি বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কায় ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ মুহূর্তে অ্যালেক্স ক্যারে ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেলেও রিচার্ডসন মাঠে নেমে বিজয়ীর বেশে ক্রিজ ত্যাগ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ানের ১৯৩ রানের জুটির ওপর ভর করে ৩৫৮ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিক ভারত। ৯৫ রান করে রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলেও শিখর ধাওয়ান করেন ১১৫ বলে ১৪৩ রান। শেষ পর্যন্ত ধাওয়ানের সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গেলো পিটার হ্যান্ডসকম্বের সেঞ্চুরির সামনে।
আইএইচএস/