ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কাশ্মীরে নিহত সেনাদের স্মরণে ‘আর্মি ক্যাপ’ পরে মাঠে কোহলিরা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৯

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে জয়ের পর সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে রাঁচির ঝারখন্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এ মাঠটি ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য হোমগ্রাউন্ডও বটে।

প্রায় তিন বছর পর এ মাঠে খেলতে নেমে প্রশংসনীয় এক উদ্যোগ নিয়েছেন ধোনি। সম্মানজনক লেফট্যানেন্ট কর্নেল খেতাব পাওয়া ধোনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাঁচিতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি আর্মি ক্যাপ পরে খেলবেন তারা। ম্যাচ শুরুর আগে নিজ হাতে কোহলি-রোহিতদের আর্মি ক্যাপ তুলে দিয়েছেন ধোনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধোনির এ ক্যাপ দেয়ার ভিডিও আপলোড করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে তারা লিখে দিয়েছে, ‘কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে টিম ইন্ডিয়া আজকে আর্মি ক্যাপ পরে খেলবে। এছাড়াও দেশের মানুষকে জাতীয় প্রতিরোধ ফান্ডের জন্য অনুদান দিতে অনুপ্রাণিত করাও ভারতীয় দলের লক্ষ্য। যাতে করে শহীদ পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়া যায়।’

cap

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সেনা সদস্যদের প্রতি ধোনির অগাধ ভালোবাসার কথা স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘এটা কোনো অবাক করার মতো ঘটনা নয় যে আর্মি ক্যাপ পরে খেলার কাজটি লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহেন্দ্র সিং ধোনির হোমগ্রাউন্ডেই হচ্ছে। এটা শুধুমাত্র বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান নয়, একটা দায়িত্বপূর্ণ ঘটনাও বটে। আমি নিশ্চিত খেলা ছাড়ার পরেও ধোনি নিজেকে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রাখবেন।’

বিশেষ এই আর্মি ক্যাপ পরার ব্যাখ্যায় টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘এটা একটা বিশেষ ক্যাপ। আমরা এর মাধ্যমে পুলওয়ামাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত সেনা সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং তাদের পরিবারের পাশের দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি, ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের সবাইকে অনুরোধ করবো যেন সবাই ন্যাশনাল ডিফেন্স ফান্ডের জন্য যথাসাধ্য অনুদান দেন, যাতে করে নিহত সেনা সদস্যদের সন্তানদের পড়ালেখার কাজে তা ব্যয় করা যায়।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সিআরপির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা। হামলায় নিহত হন ৪০ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরো ৪১ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।

এসএএস/এমএস

আরও পড়ুন