দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেও ইনিংস পরাজয় বাঁচাতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ
চেষ্টা করেছিলেন। হলো না। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে সৌম্য সরকার ফিরে গেলেও দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশকে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি সাজঘরে ফেরার পরই শেষ হয়ে শেষ আশাটাও।
হ্যামিল্টন টেস্টে মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারসেরা ১৪৬ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটা থামিয়েছেন নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদি। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হবার পর আর এক রানও যোগ করতে পারেনি টাইগাররা। ম্যাচটা তারা হেরেছে ইনিংস এবং ৫১ রানে।
এই টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্যে হার লেখা হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে ডিক্লেয়ার করার পরই। বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর ইনিংস পরাজয়টাও বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের।
৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু। ১২৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ খুব বেশিদূর যেতে পারবে না, এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই।
তবে সৌম্য সরকার আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সবার মতো ভাবেননি। হার নিশ্চিত জেনেও দুর্দান্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলেছেন তারা। যার ফলশ্রুতিতে কিউই বোলিং সামলে সেঞ্চুরিও পেয়েছেন দুজনই।
পঞ্চম উইকেটে ২৩৫ রানের লড়াকু এক জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। যে জুটির উপর ভর করে এখন ইনিংস পরাজয় বাঁচানোর স্বপ্নও দেখছিল বাংলাদেশ।
১৭১ বলে ২১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ১৪৯ রান করে সৌম্য সরকার ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন। কিন্তু দলপতি মাহমুদউল্লাহ বুক চিতিয়েই লড়ছিলেন। একটা প্রান্ত ধরে অনেকদূর দলকে নিয়ে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ২২৯ বল মোকাবেলায় ২১টি চার আর ৩টি ছক্কার মারে ১৪৬ রানে থাকার সময় সাউদি ফিরিয়েছেন তাকে। সেখানেই শেষ বাংলাদেশের আশা। ৪২৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ টাইগাররা।
১২৩ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৯৮ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি।
এমএমআর/এমএস