উইকেটের নয় দোষ আমাদের : তামিম
নিউজিল্যান্ড সফরের শুরু থেকেই একটি আক্ষেপ বাংলাদেশের-নতুন বলে বারবার উইকেট হারাতে হচ্ছে। নতুন বলটা সামলে নিতে পারলে পরে বড় সংগ্রহের পথে যাওয়া যেতো, এমন আফসোসই ছিল। হ্যামিল্টন টেস্টে এসে সেই আফসোসের জায়গাও থাকলো না।
নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়েগনারদের দারুণভাবে সামলে নিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তামিমের সঙ্গে তরুণ সাদমান ইসলাম উদ্বোধনী জুটিতে তুললেন ৫৭ রান। ইনিংসের ২৭তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১২১। সেই দলটিই অলআউট ২৩৪ রানে। বিশ্বাস করা তো কঠিনই!
যে তামিম কিউই বোলিং আক্রমণকে দুমড়ে মুচড়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন, তিনিও বেশ হতাশ দলের এমন পারফরম্যান্সে। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই হতাশাটা গোপন করতে পারলেন না ১২৬ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলা এই ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘সত্যি করে বলতে এমন একটি শুরু ছিল আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। বিশেষ করে এমন সবুজ উইকেটে আমরা সাধারণত শুরুর দিকে দুই-তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। সবাই জানে এরপর কি হয়। তবে এমন একটি দুর্দান্ত শুরুর পর সেটা ধরে রাখতে না পারা হতাশার। আমি সেঞ্চুরি করেছি বলেই নয়, ড্রেসিংরুমের সবাই খুব হতাশ।’
উইকেট কেমন ছিল? ব্যাটসম্যানদের জন্য কি খুব বেশি কঠিন ছিল? তামিম তেমনটা মনে করছেন না। বরং এই ব্যর্থতার জন্য নিজেদেরই দায় দেখছেন দেশসেরা এই ওপেনার, ‘আমার মনে হয়, এটা বেশ ভালো উইকেট ছিল। এটা সবুজ কিন্তু খুব বেশি ঝামেলা করেনি। আমাদের অবশ্যই আরও রান করা উচিত ছিল। দিনশেষে আসলে দোষটা আমাদেরই। আমি মনে করি যদি সারাদিন আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম, তবে ৩৫০ বা ৪০০ করা যেতো। তেমন হলে সেটা লড়াকু পুঁজিই হতো।’
ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দোষে আউট হয়েছে উল্লেখ করে তামিম বলেন, ‘তারা ভালো বোলিং করেছে। তবে মাঠে যদি আমাদের আউটগুলো দেখেন, দেখবেন দুর্দান্ত ডেলিভারির চেয়ে ভুল শট খেলেই আমরা আউট হয়েছি। আমরাই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেছি।’
এমএমআর/এমএস