সেই ধোনির ব্যাটে আজ ঝড়, সঙ্গে বিরাট কোহলিরও
বিশাখাপত্ত্নমে আগের ম্যাচে ৩৭ বল খেলে মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ছিলেন ২৯ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে টেস্টের চেয়েও মন্থর গতিতে ব্যাট করে ধোনি যে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, সম্ভবত তার পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও এমন সমালোচনার মুখোমুখি হননি তিনি। অনেকেই তো ওইদিনই ধোনিকে অবসর নিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বসেছিলেন। ওই ম্যাচে ভারতও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ৩ উইকেটের ব্যবধানে।
এবার ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধোনিকে দেখলো ভারতবাসী। এবার ধোনি ব্যাট হাতে যে ঝড় তুললেন, তাকে কি বলবেন সমালোচনাকারীরা? যারা তাকে ওইদিনই অবসর নিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তারাই বা এখন কি বলবেন?
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলেছিলেন ধোনি। ৩টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কায় ২৩ বলে ধোনি করেন ৪০ রান। তার এই ঝড়ের ওপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে ভারত।
ধোনির আগেই অবশ্য ঝড়ের সূচনা করেছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কোহলির টর্নেডো ইনিংসের কারণেই অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশাল স্কোর গড়ার সুযোগ পায় ভারত। ৩৮ বল খেলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন কোহলি। ২৯ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ২৬ বলে তিনি খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শিখর ধাওয়ান করেন ১৪ রান, দিনেশ কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।
জবাবে ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এ রিপোর্ট লেখার সময় ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টোইনিজ ৭ রানে এবং অ্যারোন ফিঞ্চ আউট হন ৮ রান করে। ৩৮ রান নিয়ে ওপেনার ডি আরকি শর্ট এবং ৩২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
আইএইচএস/