দেশে ফিরেই আবাহনীকে জেতালেন ‘অলরাউন্ডার’ সাব্বির
ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পরে সাব্বির রহমান তার উদযাপনের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছিলেন, ‘এখন থেকে আমার ব্যাটই কথা বলবে’। সে উদযাপনের পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়েছে অনেক। কিন্তু বদলায়নি সাব্বিরের ব্যাটের ভাষা।
ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে শুধু ব্যাট হাতে নয়, সাব্বির বাজিমাত করেছেন বল হাতেও। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২৫ রানে হারিয়ে আবাহনী লিমিটেড। ব্যাট হাতে ৫৮ রানের ইনিংসের পর বল হাতেও কিপটে স্পেলে ২ উইকেট নিয়েছেন সাব্বির।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার (৩) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩)।
তৃতীয় উইকেটে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান। দুজন মিলে ৩৮ বলে যোগ করেন ৫২ রান। ইনিংসের নবম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ১৮ বলে ২৩ রান করা মোসাদ্দেক।
তবে নিজের ব্যাটিং চালিয়ে নেন সাব্বির। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন সাব্বির।
শেষদিকে জাহিদ জাবেদের ২টি করে চার-ছক্কার মারে খেলা ৩৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী। ব্রাদার্সের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান এবং রনি হোসেন।
রান তাড়া করতে নেমে কখনোই মনে হয়নি জিততে পারবে ব্রাদার্স। নিজের প্রথম ওভারেই ওপেনার ফজলে মাহমুদকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক। দ্বিতীয় উইকেটে মিজানুর রহমান এবং ইয়াসির আলি গড়েন ৬৬ রানের জুটি। কিন্তু খরচ করেন ৬০টি বল।
টি-টোয়েন্টির সঙ্গে বেমানান ইনিংস খেলে ১১তম ওভারে আউট হন মিজানুর। ৩৮ বল খেলে করেন ৩০ রান। তবে ব্রাদার্সকে টেনে নিচ্ছিলেন ইয়াসির। তাকে আউট করেন সাব্বির। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৪১ রান করেন ইয়াসির।
শেষদিকে আর কেউই ব্যাট হাতে দাঁড়াতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৫ রানে থামে ব্রাদার্সের ইনিংস। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন সাব্বির। অবধারিতভাবে তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এসএএস/এমএস