ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আজও ব্যাটিং ব্যর্থতা, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৬

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিলো বাংলাদেশ। আবারও সেই মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে গড়ে উঠলো কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২২৬ রান।

নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৩২ রান। হেরেছিল ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের তোপের মুখে মোহাম্মদ মিঠুন আর সাব্বির রহমান বাদে দাঁড়াতে পারেনি আর কোনো ব্যাটসম্যানই। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান এবং সাব্বির রহমান করেন ৪৩ রান।

ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় কিউই অধিনায় কেন উইলিয়ামস। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশের ফাইনালের জন্য স্বাগতিকরা একাদশ থেকে বাইরে রাখে মিচেল সান্তনার এবং টিম সাউদিকে। টিম সাউদি যদিও প্রথম ওয়ানডেতেও খেলেননি।

কিউইরা একটি পরিবর্তন আনলেও বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। রুবেল হোসেনকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাকে দলে নেয়া হয়নি। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামে টাইগাররা।

সিরিজ বাঁচানোর মিশনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের সূচনা করেন লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই লকি ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। যদিও লিটনের দুর্ভাগ্য। লেগ সাইডে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠলেও অনেক দুর দৌড়ে এসে ক্যাচটি তালুবন্দী করেন ফার্গুসন।

লিটন আউট হয়ে যাওয়ার পর তার ওপেনিং পার্টনার তামিম ইকবালও কিছু করতে পারলেন না। আগের ম্যাচের মতই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে তিনি আউট হয়ে গেলেন ব্যাক্তিগত ৫ রানে। দলীয় রান তখন ১৬। শুরু থেকেই তামিমকে মনে হচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। যার ফলে ২৮ বল মোকাবেলা করেও তিনি করতে পারলেন কেবল ৫ রান।

১৬ রানে ২ উইকেট পড়ার পর সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহীম কিছুটা প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দু’জনের ব্যাটে ৩২ রানের জুটিও গড়ে ওঠে। কিন্তু সৌম্য সরকারের অস্থিরতা আর সেই চিরাচরিত ভুল সমাপ্তি ঘটিয়ে দিলো সম্ভাবনাময়ী একটি জুটির।
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলটিতে কোনো বিপজ্জনক গতি ছিল না। ছিল না ইনসুইং কিংবা আউটসুইংও। শুধু অফস্ট্যাম্পের বাইরে রেখেছিলেন তিনি বলটি। এমন বলে বোলার উইকেটের আশাও করেন কম; কিন্তু সৌম্য ড্রাইভ করতে গিয়ে ছোঁয়ালেন ব্যাটের উপরের কানায়। বল চলে গেলো স্লিপে। ক্যাচ ধরলেন টেলর। ২৩ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেন সৌম্য।

মুশফিকুর রহীম আর মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিটাও খারাপ ছিল না। তারাও চেষ্টা করলেন প্রতিরোধ গড়ার। ৩৩ রানের জুটি গড়ে ওঠে তাদের দু’জনের ব্যাটে। কিন্তু দলীয় ৮১ রানের মাথায় ভুলটা করে বসলেন মুশফিকুর রহীম। লকি ফার্গুসনের অফসাইডের বলটিতে পুশ করতে গিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বলের ঠিক উচ্চতা কিংবা লাইনে যেতে পারেননি। ফলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল চলে গেলো স্ট্যাম্পে। বলা যায় মুশফিক নিজেই বলটা স্ট্যাম্পে টেনে নিলেন।

মুশফিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ভুলটা তিনিও করলেন। মাত্র ৭ রান করে বিদায় নেন তিনি। টড অ্যাসলের বল ঠিকমত খেলতে পারলেন না রিয়াদ। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। যদিও দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছিলেন টম ল্যাথাম।

মোহাম্মদ মিঠুন এবং সাব্বির রহমানের জুটি কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। দু’জনের ৭১ রানের জুটি মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকে আজ হয়তো ভালো কিছু এনে দিতে পারে। সাব্বির রহমানও নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে দারুণ ব্যাট করছিলেন। সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুন আগের ম্যাচের মতই সপ্রতিভ। টানা দুটি হাফ সেঞ্চুরিও এসে গেলো তার ব্যাট থেকে।

তবে হাফ সেঞ্চুরির পর তার কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিংই প্রত্যাশা ছিল সবার; কিন্তু টড অ্যাসলের ইয়র্কার লেন্থের বলটি ডিফেন্স না করে তিনি কাট করতে চাইলেন। ফলাফল স্ট্যাম্পই উড়ে গেলো। ৬৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন মিঠুন।

সাব্বির রহমানের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি বাধলেও সেটি বেশিক্ষণ টিকেনি। ২০ বলে ১৬ রান করেন মিরাজ। কিন্তু অহেতুক শট খেলতে গিয়ে জিমি নিশামের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। অনায়াসেই ক্যাচটি ধরলেন হেনরি নিকোলস। এরপর ফিরে গেলেন সাব্বির রহমানও। লকি ফার্গুসনের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিলেন পয়েন্টে। ধরলেন সেই নিকোলস। যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস করছেন তিনি।

আগের ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন দারুণ ব্যাট করেছিলেন। আজ পারলেন না। করলেন কেবল ১০ রান। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। জিমি নিশামের বলে বোল্টের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মোস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।

লকি ফার্গুসন সর্বোচ্চ ৩টি, টড অ্যাসলে এবং জিমি নিশাম নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম নেন ১টি করে উইকেট।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন