ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা গম্ভীরের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কাশ্মীরের শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ের পুলওয়ামায় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো ভারত। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনীতিবীদ, সরকারী আমলা, কর্মকর্তা এমনকি খেলোয়াড়রা পর্যন্ত এই ক্ষোভ থেকে দুরে নেই। সেই ক্ষোভের সাগরে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা, সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর। টুইটারে তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আর টেবিলে নয়, কথা বলতে হবে যুদ্ধের ময়দানে।

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় বৃহস্পতিবার এক ভয়াবহ হামলায় নিহত ভারতীয় সেনার সংখ্যা কেউ কেউ ৪৫জনও উল্লেখ করছেন। সিআরপিএফ কনভয়ে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তোলপাড় পুরো বিশ্বেই। এতবড় হামলার ঘটনায় চুপ থাকতে পারলেন না ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে কড়া জবাব ছুঁড়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিলেন গৌতম গম্ভীর।

টুইটারে ক্ষুব্ধ গম্ভীর লেখেন, ‘কথা বলা যাক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে। কথা হোক পাকিস্তানের সঙ্গে। তবে সেই কথা টেবিলে নয়। বরং হোক যুদ্ধক্ষেত্রেই। অনেক হয়েছে আর নয়।’

India

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অবন্তীপুরায় ভারতের সেনা কনভয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় দায়ী করা হয় পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদকে। হামলার দায় স্বীকার করে ইন্টারনেটে ভিডিও বক্তব্যও দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনটি। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

গম্ভীরের টুইটের পরই সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা হামলে পড়েছে। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রিটুইট হয়েছে সেখানে। প্রায় সবাই একাত্মতা প্রকাশ করেছেন গম্ভীরের সঙ্গে।

ভয়াবহ এই হামলার পরই গোটা কাশ্মীরে জুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সমস্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থা। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘পুলওয়ামায় সিআরপিএফের উওর হামলা নিন্দনীয়। আমাদের সাহসী জওয়ানদের এই আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। তাদের পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে গোটা দেশ।’

আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন