যে রেকর্ডের শীর্ষে দুইবার সাকিব
রেকর্ডটা করার সুযোগ ছিলো ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের সামনে। লিগপর্বের শেষ দুই ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট পেলেই এককভাবে বসে যেতেন বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ডের শীর্ষে। ইনজুরির কারণে ১টি উইকেট নিয়ে সে রেকর্ডে আরও দুইজনের সঙ্গে বসেছেন তাসকিন।
তবে তাসকিনের সম্ভাবনা শেষ হলেও টিকে ছিলো ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সুযোগ। লিগপর্বে ২১ উইকেট নেয়া সাকিবের রেকর্ডটি গড়তে তাসকিনের মতোই 'অন্তত' ২ ম্যাচে বাকি ছিলো ২টি উইকেট।
এলিমিনেটর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে উইকেটশূন্য থাকায় বাড়ে সাকিবের অপেক্ষা। কোয়ালিফায়ার-২ এর ম্যাচেও নিতে পেরেছেন ১টি উইকেট। ফলে তারও এককভাবে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়া হয়নি।
নিজের স্পেলের শেষ ওভারে বেনি হাওয়েলকে 'এলবো' বিফোর উইকেটে পরিণত করেন সাকিব। সে ওভার থেকে কোনো রানও খরচ করেননি ঢাকা অধিনায়ক। হাওয়েলের এ উইকেটটি ছিলো চলতি বিপিএলে সাকিবের ২২তম উইকেট।
বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার রেকর্ড এটি। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ টুর্নামেন্টের এক আসরে ২২ উইকেট নেয়ার ঘটনা রয়েছে মোট ৪টি। যার দুইটিই করেছেন সাকিব আল হাসান। বিপিএলের আগের আসরেও ২২ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
এছাড়া ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে কেভন কুপার এবং চলতি আসরে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে সমান ২২টি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। এ দুইজনের আর নিজেদের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ না থাকলেও সাকিব পেতে পারেন আরো এক ম্যাচ। তবে সেক্ষেত্রে কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচটিতে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে হবে সাকিবের ঢাকাকে।
বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড
১. কেভন কুপার (বরিশাল বুলস) – ৯ ম্যাচে ২২ উইকেট, সেরা বোলিং ১৫ রানে ৫ উইকেট (২০১৫)
২. তাসকিন আহমেদ (সিলেট সিক্সার্স) – ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট, সেরা বোলিং ২৮ রানে ৪ উইকেট (২০১৯)
৩. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) – ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৫ উইকেট (২০১৭)
৪. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) - ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট (২০১৯)
৫. আবু হায়দার রনি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস) – ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট, সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট (২০১৫)
এসএএস/এমএমআর/এমএস