বাদ পড়েও মুশফিকের মনে ‘যুদ্ধ’ জয়ের আনন্দ
সন্দেহ নেই বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। কেউ কেউ তামিম ইকবালের চেয়েও মুশফিককেই এগিয়ে রাখেন। ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেন ঠিক ততটা উজ্জ্বল নন মুশফিক।
প্রায়ই কথা ওঠে, বিশ ওভারের ফরম্যাটটার সঙ্গে মানানসই নন মুশফিক। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এ সংস্করণকে একপাশে রেখে দিলে ওয়ানডে ও টেস্টে আরও ভালো করতে পারবেন মুশফিক- এমনটাই অভিমত নিন্দুক, সমালোচকদের।
তবে প্রচণ্ড জেদী ও কঠোর পরিশ্রমী মুশফিকুর রহীম এসব মানতে নারাজ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দুর্বলতা জয় করাকে নিজের সঙ্গেই ‘যুদ্ধ’ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। যে যুদ্ধের প্রথম ক্ষেত্রটা ছিলো চলতি বিপিএল। তুলনামূলক দুর্বল চিটাগং ভাইকিংসকে সুপার ফোরে তোলার মূল কৃতিত্ব অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান মুশফিকের।
আজ ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে মুশফিকের চিটাগং। টুর্নামেন্টে ১৩ ম্যাচ খেলে এখনো পর্যন্ত আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২৬ রান করেছেন মুশফিক। তিনটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস ছাড়াও প্রায় সব ম্যাচেই দলকে দিয়েছেন নির্ভরতা। রানও করেছেন প্রায় ১৪০ স্ট্রাইকরেটে।
টুর্নামেন্ট শেষে এমন পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট মুশফিক? এছাড়াও টানা ১৩ ম্যাচ খেলার পরই আবার ৭ তারিখ উড়াল দিতে হবে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেলতে নামার আগে বিপিএলের পারফরম্যান্স কতোটা স্বস্তিদায়ক?
জবাবে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বলেন, ‘এখন আসলে (নিউজিল্যান্ড সফরের) প্রস্তুতির কিছু নেই। যেই কয়দিন সময় আছে একটু বিশ্রাম নিতে হবে। এরপর সুইচ অন করতে হবে। আর আমার পারফর্ম্যান্স নিয়ে আমার না আপনাদের বলা উচিত। আমি বেশি গবেষণা করি না। আমি শুধু চেষ্টা করি। অবশ্যই ইচ্ছা ছিল যে আজকের দিনটায় কন্ট্রিবিউট করতে পারি। যেন একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওভারঅল আগের যে কোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে একটু বেশি খুশি। কিছু কিছু জায়গা অনেক কঠিন অবস্থা ছিল, যেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করা যে আমার সামর্থ্য আছে, সেটা করে দেখাতে পেরেছি। নিজের কাছে যেই যুদ্ধটা ছিল সেদিক থেকে একটু সন্তুষ্ট, বেশি না।’
এসএএস/এমএমআর/এমএস