ইংল্যান্ডকে এবার ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে পেয়ে নিজেদের সব প্রতিভা যেন এক সঙ্গে দেখিয়ে দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে দলটি মাত্র দুই মাস আগেও বাংলাদেশের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, তারা কি না ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের মত বিশ্ব শক্তিতে রীতিমত বিধ্বস্ত করে চলেছে। প্রথম ম্যাচে ৩৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের ১০ উইকেটের আরও একটি বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
অ্যান্টিগা টেস্ট চতুর্থ দিনে গড়াতে হয়নি। তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে গেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই জেমস অ্যান্ডারসনকে ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেন জন ক্যাম্পবেল।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৮৭ রানে অলআউট করে দেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দাঁড়াতে দেয়নি ক্যারিবীয় পেসাররা। অলআউট করে দিয়েছে মাত্র ১৩২ রানে। কেমার রোচ, জেসন হোল্ডার আর আলজারি জোসেপের হাতেই শেষ হয়েছে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ আর জেসন হোল্ডার। ২ উইকেট নেন আলজারি জোসেন। দুই ইনিংস মিলে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হলেন কেমার রোচ।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ১৮৭ রানের জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৩০৬ রান। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ড্যারেন ব্র্যাভো। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ৪৯, জন ক্যাম্পবেল করেন ৪৭ রান। সাই হোপের ব্যাট থেকে আসে ৪৪, শেন ডওরিচের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড নেন ৩ উইকেট। এছাড়া স্পিনার মঈন আলিও হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ৩টি। পেসার জেমস অ্যান্ডারসন এবং বেন স্টোকস নেন ২টি করে উইকেট।
১১৯ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্যারিবীয় পেসারদের তোপের মুখে তারা মোটেও দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকে। ১৭ রান করেন জো ড্যানলি। ১৬ রান করেন ররি বার্নস। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪২.১ ওভার ব্যাট করে ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
যে কারণে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ১৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেল মিলে জয়ের কাজটা বিনা উইকেটেই শেষ করে আসেন। ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১ ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আইএইচএস/পিআর