ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

গণমাধ্যমের সাথে কথা বলা কমিয়ে দেবেন পাপন!

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সচরাচর প্রচার মাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন না। এক কথায় মিডিয়াকে পাশ কাটানোর রেকর্ড নেই বললেই চলে। যে কোন ইস্যুতে কথা বলতে বা মতামত দিতে বলা হলে খুব খোলা মনেই কথা বলেন নাজমুল হাসান পাপন। তাই বিসিবি প্রধানকে মিডিয়া ফ্রেন্ডলিই ভাবা হয়।

কিন্তু হঠাৎ ইমরুল কায়েস ইস্যুতে মানসিকতা বদলে ফেলেছেন বিসিবি বিগ বস। আগামীতে প্রচার মাধ্যমের সাথে আর আগের মত খোলামেলা কথা না বলার চিন্তা ঢুকেছে মাথায়। শুধু চিন্তা বললে কম বলা হবে। প্রচার মাধ্যমের সাথে কথা বলা কমিয়ে দেয়ার ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন।

আজ বিকেলে বিসিবি অফিসে জনাকীর্ণ সংবাদ সন্মেলনে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে মিডিয়ার সাথে কথা বার্তায় আরও সংযত হতে চান তিনি। আগের মত যখন তখন খেলামেলা কথোপকথনের বদলে রয়ে সয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

যে বোর্ড সভাপতি তার বাসভবন, কর্মস্থল কিংবা বিসিবিতে মিডিয়ার সাথে অবাধে কথা বলেছেন। অ্যাপ্রোচ করলেই বোর্ডের অনেক ভেতরের কথা এবং জাতীয় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় ইস্যু নিয়েও প্রকাশ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন; তিনিই এখন থেকে মুখে কুলুপ আঁটবেন!

আজ সাংবাদিকদের সামনে সে কথাই জানালেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু আপনাদের সঙ্গে কথা বলি সব সময়। এবং আমি যা জানি সব বলে দেই। মানে আপনাদের সামনে স্বচ্ছ থাকার চেষ্টা করি। লুকানোর কখনো চেষ্টা করি না।’

সেই মিডিয়া বান্ধব মানুষটি যখন বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আপনাদের (মিডিয়া) সঙ্গে কথা বলায় সীমাবদ্ধতা আনা ছাড়া আমার কোন পথ নাই।’ তখন কৌতুহল জাগে বৈকি!

কি এমন হলো যে, বোর্ড সভাপতি বিগড়ে গেলেন? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। কেন কি কারণে এবং কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি মিডিয়ার সাথে সংযত হয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার কারণ ও পটভূমিকা ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘অতি সম্প্রতি দুই ঘটনা উদাহরণ হিসেবে দিচ্ছি- সেদিন চট্টগ্রামে ফুটবল নিয়ে আমি কোন কথা বলিনি। কিন্তু বলা হল আমি নাকি চিন্তিত। তারপর তরফদার সাহেবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি...।’

‘এর পরের ঘটনাটি বোধ হয় পরশু । 'সময় টিভি' আসল। ওখানে ফার্মা এক্সপোতে আমি গিয়েছি, ওখানে তো ক্রিকেট নিয়ে বলার কারণই নাই। আমি একজনের সঙ্গে কথাও বলতে চাই না, আমি চাই সবার সামনে বলতে। সে আমাকে বলেছিল, ইমরুলের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে। আমি পরিষ্কার বলেছি, ১৫ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আরেকজন আসার সুযোগ আছে। ১৬ জনে ওর (ইমরুলের) আসার সম্ভাবনাই বেশি। আমার ধারণা ও চলে আসবে। এবং বলেছি কেন...যদি স্কোয়াড দেখেন। এবং সে আমাকে বলেছে ইমরুল খুব খুশি হয়েছে। তার মানে এটার (নিউজের) আগেই সে...। কিন্তু নিউজ দিয়ে দেওয়া হলো- ইমরুলকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে। এবং আমি নাকি এটা নিশ্চিত করেছি। আমার কাছে এখনো নামই আসেনি, তো আমি কীভাবে কনফার্ম করব? এটা তো আসবে নির্বাচকদের কাছ থেকে। এটা যখন দেখেছি, দেখার পরে কয়েকটা চ্যালেন আমাকে ফোনও করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বলা হয়েছে এটা এরকম নয়।’-বিরক্তিভরা কন্ঠে বলেন বিসিবি সভাপতি।

এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন