তিন বছর পর রান তাড়ায় হারল পাকিস্তান
অন্য দুই ফরম্যাটে যেমনই হোক কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে সবার সেরা পাকিস্তান ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দলীয় র্যাংকিংয়েও শীর্ষে অবস্থান করছে ২০০৯ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নরা। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এ সংস্করণে টানা ৯ ম্যাচ জিতে রীতিমতো উড়ছিল তারা।
তবে তাদের এ জয়রথ থামিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ রানের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৯২ রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে ১৮৬ রানে থামে পাকিস্তান।
সবমিলিয়ে নয় ম্যাচ পর হারলেও, রান তাড়া করে ম্যাচে টানা ১১ জয়ের পর ব্যর্থ হলো পাকিস্তান। সবশেষ ২০১৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ২১ রানে হেরেছিল তারা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে টানা ১১ ম্যাচ জেতার পর শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজিত হল তারা। সময়ের হিসেবে প্রায় তিন বছর পর রান তাড়ার ম্যাচে হারল পাকিস্তান।
ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নিজেদের ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং ওপেনার রেজা হেন্ডরিকস দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৩৪ রান। একসময় মনে হচ্ছিল সহজেই দুইশ ছাড়াবে দলীয় সংগ্রহ।
কিন্তু ১৬তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে হেন্ডরিকস ও ডু প্লেসিসকে আউট করে সেটি হতে দেননি উসমান শিনওয়ারি। আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪১ বলে ৭৪ রান করেন হেন্ডরিকস। ৬ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মারে ৪৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন ডু প্লেসিস।
রান তাড়া করতে নেমে মূলত ‘ফিল্ডার’ ডেভিড মিলারের কাছেই পরাজিত হয় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে মাত্র ১০ রান করা মিলার ফিল্ডিং করতে নেমে বিদায়ঘণ্টা বাজান ৬ ব্যাটসম্যানের। ৪টি ক্যাচ নেয়ার পাশাপাশি ২টি রানআউটে মুখ্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে প্রায় সবাই-ই ভালো শুরু করেন। বাবর আজম ২৭ বলে ৩৮, হুসাইন তালাত ৩২ বলে ৪০, অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩১ বলে ৪৯ রান করে জয়ের প্রাথমিক কাজটা ঠিকঠাক করেন। কিন্তু শেষের দিকে কেউই তেমন দাঁড়াতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বল হাতে বিউরান হেন্ডরিকস, ক্রিস মরিস ও তাবারেজ শামসি নেন ২টি করে উইকেট। তবে ম্যাচসেরার পুরষ্কার ওঠে ডেভিড মিলারের হাতেই।
এসএএস/এমএস