রুবেলের দুর্দান্ত ক্যাচে তামিম ঝড়ের সমাপ্তি
ইনিংসের প্রথম বলেই আলতো ছোঁয়ায় ফাইনলেগ দিয়ে চার, পরের বলে নিয়ন্ত্রিত ফ্লিকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানা পার- শুরুতেই দুইটি বাউন্ডারি মেরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ওপেনার তামিম ইকবাল যেনো ইঙ্গিত দিলেন নিজের তারুণ্যে ফিরে যাওয়ার।
যখন উন্মাতাল থাকতো তার ব্যাট, একদম প্রথম থেকেই কচুকাটা করতেন বোলারদের, দাপট দেখিয়েই খেলতেন পুরোটা সময়। সে তামিমের দেখা মেলে না অনেকদিন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছেন তামিম, এখন খেলেন রয়েসয়ে, দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে।
কিন্তু তাই বলে যে তামিমের মারমুখী স্বত্বা হারিয়ে গেছে এমনটা ভাবার কিন্তু সুযোগ নেই। পরিস্থিতি এবং যথাযথ সময় পেলে তামিম যে এখনো খেলতে পারেন মারকাট ক্রিকেট সে ঝলকই যেন তিনি দিলে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে।
ইতোমধ্যে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত হওয়ায় ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটি নির্ভার থেকেই খেলতে নেমেছে কুমিল্লা। আর এমন ম্যাচের প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি পেয়ে তামিমও যেন তেতে ওঠেন আরো। আন্দ্রে রাসেল তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে আসলে দারুণ এক পুল শটে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান তামিম।
সুনিল নারিন ও শুভাগত হোমকে জোড়া বাউন্ডারির পর রুবেল হোসেনকে উড়িয়ে পাঠান ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে। পরে লংঅফ বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে তামিমের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন এই রুবেলই।
মাত্র ১৯ বল থেকে ৪টি চারের সঙ্গে ২ ছক্কার মারে ৩৮ রানে পৌঁছে যাওয়া তামিম খেলছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। শুভাগতর করা অষ্টম ওভারের প্রথম বলে লংঅন বাউন্ডারিতে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন তামিম। কিন্তু পুরোপুরি ব্যাটে-বলে করতে পারেননি।
লংঅন বাউন্ডারি থেকে কয়েক গজ দৌড়ে এসে দুই হাতে সামনের দিকে ঝাপিয়ে পড়ে তালুবন্দী করেন রুবেল। প্রথম দেখায় মনে হচ্ছিলো যেন মাটি খুঁড়ে বলটিকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়েছেন রুবেল। আম্পায়াররা প্রাথমিকভাবে দ্বিধানিত্ব হলেও রুবেল জানান সরাসরিই ধরেছেন তিনি। থেমে যায় তামিমের ২০ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংসটি।
এসএএস/এমকেএইচ