ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চার পেসারের তোপে দিশেহারা ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রিজটাউন টেস্টে তুলোধুনো হওয়ার পর অ্যান্টিগায় ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। কিন্তু প্রাণবন্ত সবুজ উইকেটে উইন্ডিজ পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে সেটি আর করা হয়নি সফরকারীদের।

চার পেসার কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, আলঝারি জোসেফ এবং জেসন হোল্ডারের সম্মিলিত আক্রমণে অ্যান্টিগায় প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে ইংলিশদের ইনিংস। জবাবে প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটে ৩০ রান সংগ্রহ করেছে উইন্ডিজ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেই রেকর্ডের পাতায় নাম তুলে ফেলেন দুই ওপেনার জো ডেনলি এবং ররি বার্নস। তবে এতে তাদের কৃতিত্ব সামান্যই, পুরো কীর্তিটাই দুই উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইংলিশদের সামনে সবুজ গালিচা উপহার দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। তাতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারে কোনো রানই করতে পারেননি দুই ওপেনার ডেনলি এবং বার্নস।

নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ডেনলি মেইডেন দেন গ্যাব্রিয়েলের ২ ওভার, বার্নস কাটিয়ে দেন রোচের দুই ওভার। ৪ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় শূন্য উইকেটে শূন্য রান। ১৯৯৯ সালে প্রতি বলের হিসেব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো ইনিংস শুরুর ৪ ওভারে কোনো রান করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। এর আগে ৪ ওভারে সর্বনিম্ন ১ রান হলেও করেছিল ইংল্যান্ড। এবার ছাড়িয়ে গেল সেটিকেও।

শুরুর এই ধাক্কা নিজেদের পুরো ইনিংসেই টেনে নেয় ইংলিশরা। প্রথম ৪ ওভারে কোনো রান করতে না পেরে পঞ্চম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান ররি বার্নস (৪)। দশম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ডেনলি (১৬)। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ১৬ রান।

সবুজ উইকেটের অসমান বাউন্সে রক্ষণাত্মক ক্রিকেটে টেকা যাবে না ভেবে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করেন অধিনায়ক রুট এবং জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকা হয়নি রুটের। ১৬তম ওভারে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় জোসেফের আচমকা বাউন্সে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।

স্রোতের বিপরীতে একাই লড়েন তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু তিনিও আউট হয়ে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেয়ার পরপরই। দলীয় ৭৮ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে একাই ৫২ রান করেন তিনি।

খানিকবাদে ফিরে যান বেন স্টোকসও। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে খানিক প্রতিরোধ গড়েন মঈন আলি এবং বেন ফোকস। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মঈন, ফোকসের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। দুজনের জুটিতে আসে ৮৫ রান। তবে দলকে দুইশ পার করাতে পারেননি তারা।

বল হাতে কেমার রোচ ৪, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩, আলঝারি জোসেফ ২ এবং জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ১টি উইকেট।

এসএএস/এমএস

আরও পড়ুন