ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শেষ পর্ব শুরু কাল : অপেক্ষা সাকিব-মিরাজের

শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ | প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

দেখতে দেখতে একদম শেষদিকে চলে এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর। ঢাকা-সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রামের পর পাঁচদিনের শেষ পর্বে আবারো ঢাকায় ফিরেছে বিপিএল। ঢাকায় ফেরার আগে চট্টগ্রামেই প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে সুপার ফোর বা প্লে-অফের লাইনআপ।

এক ম্যাচ হাত রেখেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং চিটাগং ভাইকিংসের শেষ চারের টিকিট। শেষ চারে বাকি থাকা একটি টিকিটের অপেক্ষা রয়েছে দুইটি দল- সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস এবং মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস।

আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হতে পাঁচদিনের ঢাকা পর্বে ম্যাচ হবে ৮টি। এর চারটিই আবার প্লে-অফ এবং ফাইনালের। বাকি ৪টি ম্যাচের ২টির ফলাফলের ওপরেই নির্ভর করছে সাকিব ও মিরাজের ভাগ্য। তবে ঢাকা পর্বে নিজেরা মাঠে নেমে কিছু করার সুযোগ পাচ্ছে না মিরাজের দল। তাদের জন্য রয়েছ শুধুই ঢাকার ফলাফলের অপেক্ষা।

কেননা চট্টগ্রাম পর্বেই নিজেদের কোটার ১২ ম্যাচ শেষ করে এসেছে রাজশাহী কিংস। টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে নিজেদের সব ম্যাচ খেলে ফেলেছে মিরাজের দল। ১২ ম্যাচে সমান ৬টি করে জয়-পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে তারা। তবুও নিশ্চিত হয় তাদের প্লে-অফের টিকিট।

এখন রাজশাহীর প্লে-অফ খেলার ভাগ্য ঝুলে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসের দিকে। সাকিব আল হাসানের ঢাকা শেষ দুই ম্যাচে হেরে গেলে সরাসরি শেষ চারে চলে যাবে রাজশাহী। আর দুইটি ম্যাচেই ঢাকা জিতে গেলে বাদ পড়ে যাবে রাজশাহী। অন্যথায় সামনে চলে আসবে নেট রানরেটের হিসেব। যেখানে যোজন-যোজনে এগিয়ে রয়েছে শক্তিশালী ঢাকা ডায়নামাইটসই।

পঞ্চম স্থানে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটসের এখনো বাকি রয়েছে দুইটি ম্যাচ। ১০ ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসানের দলের অবস্থাও এক। সমান পাঁচটি করে জয়-পরাজয় রয়েছে তাদের। ঢাকার শেষপর্বের শুরুর দিনই মাঠে নামবে স্বাগতিক দল, প্রতিপক্ষ এরই মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

এরপর শনিবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটানসের মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস। এ দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিতে গেলে সুবিধাজনক নেট রানরেটের কারণে প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে ঢাকার। তবে দুই ম্যাচেই হেরে গেলে হাসি ফুটবে রাজশাহী সমর্থকদের মুখে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। এছাড়া টান তিন ম্যাচ জিতে দারুণ অবস্থায় রয়েছে কুমিল্লা। ফলে এ ম্যাচে জিততে বেশ বেগ পেতে হবে টানা চার ম্যাচে হারা ঢাকাকে।

তবে তুলনামূলক সহজ হতে পারে খুলনার বিপক্ষে লড়াই। টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে ছিটকে গেছে খুলনা। ঢাকার সঙ্গে প্রথম দেখাতেও পাত্তা পায়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ঢাকার করা ১৯২ রানের জবাবে ৮৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল খুলনা। ফলে কুমিল্লার বিপক্ষে হেরে গেলেও ঢাকা সামনে সুযোগ থাকবে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

ঢাকার শেষ পর্বের আগে পয়েন্ট টেবিল

১. রংপুর রাইডার্স – ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৬৯০)
২. কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস – ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৪৯৫)
৩. চিটাগং ভাইকিংস – ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট -০.১৮৭)
৪. রাজশাহী কিংস – ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট (নেট রানরেট -০.৫১৮)
৫. ঢাকা ডায়নামাইটস – ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট (নেট রানরেট +০.৯৫৮)
৬. সিলেট সিক্সার্স – ১১ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট (নেট রানরেট -০.০৬৭)
৭. খুলনা টাইটানস – ১১ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট (নেট রানরেট -১.১৬৫)

ঢাকার শেষ পর্বের আগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক

১. রিলে রুশো (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ৮৫.৬৬ গড়ে ৫১৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০*
২. নিকলাস পুরান (সিলেট সিক্সার্স) – ১১ ম্যাচে ৪৭.৩৭ গড়ে ৩৭৯ রান, সর্বোচ্চ ৭৬*
৩. মুশফিকুর রহীম (চিটাগং ভাইকিংস) – ১১ ম্যাচে ৩৭.০০ গড়ে ৩৭০ রান, সর্বোচ্চ ৭৫
৪. লরি ইভানস (রাজশাহী কিংস) – ১১ ম্যাচে ৩৭.৬৬ গড়ে ৩৩৯ রান, সর্বোচ্চ ১০৪*
৫. অ্যালেক্স হেলস (রংপুর রাইডার্স) – ৮ ম্যাচে ৪৩.৪২ গড়ে ৩০৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০

ঢাকার শেষ পর্বের আগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী

১. তাসকিন আহমেদ (সিলেট সিক্সার্স) – ১১ ম্যাচে ১৪.৬৬ গড়ে ২১ উইকেট, সেরা বোলিং ২৮ রানে ৪ উইকেট
২. আবু জায়েদ রাহী (চিটাগং ভাইকিংস) – ১১ ম্যাচে ১৯.১৬ গড়ে ১৮ উইকেট, সেরা বোলিং ২৫ রানে ৩ উইকেট
৩. ফরহাদ রেজা (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ১৫.৫৮ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ৩২ রানে ৪ উইকেট
৪. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) – ১০ ম্যাচে ১৫.৬৪ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট
৫. মাশরাফি বিন মর্তুজা (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ১১ রানে ৪ উইকেট)

এসএএস/পিআর

আরও পড়ুন