মাশরাফির অনুরোধেই দলে নেয়া হলো সাব্বিরকে
শৃ্ঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ক্রিকেটার সাব্বির রমহান রুম্মনের ওপর। যে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী মাসে। কিন্তু তার আগেই জাতীয় দলে ফেরানো হলো এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানকে।
আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ফেরানো হবে সাব্বির রহমানকে। কারণ, দলে একজন দক্ষণ ফিনিশারের অভাব। ৬ কিংবা ৭ নম্বরে সঠিক কোনো ব্যাটসম্যানকে না পাওয়া। গত ডিসেম্বরে সিলেটে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের সময় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সাংবাদিকদের সামনে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সাব্বির রহমানকে মিস করছেন তিনি।
জাগো নিউজেই একদিন আগে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, সাব্বির রহমানকে দলে নেয়ার জন্য নির্বাচকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিপিএলের প্রথম দিককার ম্যাচগুলোতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও সর্বশেষ ম্যাচে ৮৫ রান করে এমনিতেই সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন সাব্বির। যদিও সেটা ছিল, ইনিংস ওপেন করতে নেমে।
শেষ পর্যন্ত আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচকের কথায় পরিস্কার হলো সাব্বির রহমানকে দলে নেয়ার কারণ। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সরাসরিই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘অধিনায়কের বিশেষ পছন্দ এবং অনুরোধেই আমরা সাব্বিরকে বিবেচনায় নিয়েছি।’
সাব্বির রহমানকে দলে নেয়ার জন্য অধিনায়ক মাশরাফি কি যুক্তি দিয়েছেন, সেটা জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘মাশরাফির যুক্তি, আমাদের দলে একজন সত্যিকার ফিনিশারের অভাব আছে। যে ৬ ও ৭ নম্বরে ফাস্ট বোলিং এবং স্পিন বোলিং- দুইয়ের বিপক্ষেই সমান সাবলিল এবং হাতখযুলে খেলতে পারে। ওই ক্যাটাগরিতে সাব্বিরই বেস্ট চয়েজ।’
মূলতঃ এই কারণেই মাশরাফি সাব্বিরের ব্যাপারে উৎসাহী বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। আর এ কারণেই সাব্বিরের শাস্তির মেয়াদ এক মাস কমিয়ে আনা হয়েছে।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম