১০ ক্যাচ ধরে রাজশাহীর বাজিমাত
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে তামিম ইকবালকে স্ট্রাইক দিলেন এনামুল হক বিজয়। মোস্তাফিজুর রহমানের করা সে ওভারের পরের পাঁচ বলের একটিতেও রান করতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম। পরের ওভারে আর স্ট্রাইক পাননি তামিম। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
মোস্তাফিজের ওভারে পাঁচটি ডট খেলার অনুশোচনায় যেনো পুড়ছিলেন তামিম। তাই শুরু থেকেই চেষ্টা করছিলেন বাউন্ডারি হাঁকানোর। সফল হয়ে যান তৃতীয় বলে, পেয়ে যান বাউন্ডারি। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান লংঅনে দাঁড়ানো মার্শাল আইয়ুবের হাতে।
তামিমের এই ক্যাচ দিয়ে শুরু আর ১৯তম ওভারে মেহেদি হাসানের ক্যাচ দিয়ে শেষ। রাজশাহী কিংসের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তামিম এবং মেহেদির মাঝের আট ব্যাটসম্যানও নিজেদের উইকেট হারিয়েছেন রাজশাহীর ফিল্ডার হাতে ক্যাচ দিয়ে।
অর্থ্যাৎ কুমিল্লার ১০ ব্যাটসম্যানই হয়েছেন ক্যাচ আউট। এক ম্যাচে ১০ ব্যাটসম্যানেরই ক্যাচ আউট হওয়ার রেকর্ড খুব একটা নেই। সেই কীর্তি গড়েই শক্তিশালী কুমিল্লাকে ৩৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে এনেছে মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস।
শুরুতে তামিম ইকবালকে আউট করতে মোস্তাফিজ-রাব্বির যে যুগলবন্দী তা আরও একবার দেখা গিয়েছে শহিদ আফ্রিদিকে আউট করার ক্ষেত্রেও। ইনিংসের ১৫ ও ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের রহমানের বিপক্ষে ৭টি ডট খেলেন আফ্রিদি। ফলে অনেকটা মরিয়া হয়েই ১৮তম ওভার করতে আসা কামরুল ইসলাম রাব্বিকে বিশাল ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন আফ্রিদি।
ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হয়েও ছিলো আফ্রিদির। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে অসাধারণ সচেতনতার পরিচয় দিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার। আউট হয়ে যান আফ্রিদি। তখনই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় রাজশাহীর জয়। পুরো ইনিংসজুড়ে জঙ্কারের মতোই অসাধারণ সব ক্যাচ ধরেন রাজশাহীর অন্যান্য ফিল্ডাররাই। একাই তিন ক্যাচ ধরে ফিল্ডারদের মধ্যে সেরা ছিলেন জঙ্কারই।
কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের পুরো ইনিংসে একটি ক্যাচও ফেলেনি রাজশাহীর ফিল্ডাররা। ম্যাচ শেষে দলের ফিল্ডারদের এমন পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন অধিনায়ক মিরাজ। প্রাপ্য কৃতিত্ব দেন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা দুই ব্যাটসম্যান রায়ান টেন ডেসকাট এবং এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করা লরি ইভান্সকে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। (লরি) ইভানস এবং (রায়ান) টেন ডেসকাটকে কৃতিত্ব না দিলেই নয়। মাঝের ওভারে দারুণ এক জুটি গড়েছে তারা। যা আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। আমরা শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, তবে তাদের জুটি আমাদেরকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকেই শক্তিশালী। আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়েছি এবং ফিল্ডিংয়ের সময় সবগুলো ক্যাচও ঠিকঠাক ধরতে পেরেছি। সত্যিই খুব খুশি আমি।’
এসএএস/এমকেএইচ