আবহাওয়ার কারণেই উইকেটের এই অবস্থা : তামিম
ভাবা হচ্ছিল, বিপিএল প্রাণ ফিরে পাবে সিলেটে। কারণ পুণ্যভূমি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ লাল মাটিতে তৈরি। স্বভাবতই একটু বেশি শক্ত। সে কারণেই উইকেটে পেস ও বাউন্স ঢাকার শেরে বাংলার তুলনায় বেশি। ইতিহাস জানাচ্ছে, সিলেটে রানও বেশি হয়। ব্যাটসম্যানরা হাত খুলেও খেলতে পারেন।
আগের বার সিলেট স্টেডিয়ামে জমজমাট ও আকর্ষণীয় বিপিএল দেখেছেন দর্শক-অনুরাগিরা। আট ম্যাচে আগের বার ২০০+ স্কোর হয়েছে দুই বার। প্রথমবার খুলনার বিপক্ষে ঢাকা করেছিল ২০২/৭। দ্বিতীয়বার ২০০ করেছিল স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স ২০৫/৬, রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে।
বাকি ছয় ম্যাচের দুটিতে দুই দলই দেড়শোর বেশি রান করেছিল। তার প্রথমটি ছিল রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে। যেখানে রাজশাহীর করা ১৫৪ রান টপকে ৭ বল আগে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছিল মাশরাফির রংপুর। পরের ম্যাচটিও ছিল রংপুরের, প্রতিপক্ষ চিটাগাং ভাইকিংস। সে ম্যাচে চিটাগাংয়ের ৪ উইকেটে তোলা ১৬৬ ‘র জবাবে রংপুর থেমে গিয়েছিল ১৫৫'তে (৮ উইকেটে)।
অন্য চার ম্যাচে গড়পড়তা স্কোর ছিল ১৪৫-১৪৮। আগের বার সিলেটে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৩৬/৭। সিলেট পর্বের সেই উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৩০'র ঘরে থামিয়ে সিলেট সিক্সার্স পেয়েছিল ৯ উইকেটের অনায়াস জয়। পুরো আট ম্যাচের গড় স্কোর লাইন ছিল ১৬০ +।
কিন্তু এবার সিলেটে প্রথম দুই ম্যাচে দেখা গেল উল্টো চিত্র। প্রথম দিনে দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১২৮ রানের। এর মধ্যে ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়েছে রাজশাহী কিংস আর সিলেট সিক্সার্স। রাজশাহী এক ইনিংসে করে ১০৩, সিলেট মাত্র ৬৮।
উইকেট নিয়ে তাই বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু এবার কেন হচ্ছে এমনটা? তামিমের ব্যাখ্যা, 'আবহাওয়ার কারণেই এমন হচ্ছে। সাধারণত সিলেটের উইকেট ভালো থাকে। এত শিশির পড়ছে, শীতকালে আমাদের দেশের উইকেট গুলো নরম হয়ে যায়। তখনই স্পিন বেশি করা শুরু করে। আমরা তো অবশ্যই আশা করব যে আরও ভালো উইকেটে খেলা হোক। আমরা অনেক সময় অনেক বেশি দোষারোপ করে ফেলি গ্রাউন্ডসম্যানদের।'
তবে উইকেট যেহেতু ব্যাটসম্যানদের প্রতি সদয় আচরণ করছেই না, তাই তামিম মনে করেন এখানে তেড়েফুরে খেলা, ফ্রি স্ট্রোক প্লে বাদ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় খেলাই কার্যকর। আর এ উইকেটে ১৮০ রানের লক্ষ্য নিয়ে না খেলে ১৪০-৪৫ রানকেই লড়িয়ে পুঁজি ভাবতে চান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ওপেনার।
তাই তো মুখে এমন কথা, 'এটা মোটেও সহজ নয়। আপনি প্রত্যাশা করবেন না প্রথম ওভারেই বল টার্ন করবে। সাধারণত টি-টোয়েন্টি উইকেট গুলো ফ্ল্যাট হাই স্করিং হয়। এটাও ঠিক অ্যাডাপ্ট করা উচিত। কিন্তু ফরম্যাটটাই এমন যে আপনাকে সুযোগ নিতেই হবে। উইকেট যদি সাহায্য না করে তাহলে কাজ কঠিন হয়ে যায়। উইকেট নিয়ে না বেশি কথা বলে আমাদের ১৮০ জায়গায় ১৪০ কিভাবে করতে পারি সেটায় মনোযোগ দেয়া উচিত। আমার কাছে যেটা মনে হয় বেশির ভাগ দল এই ভুল করছে।'
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ