ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

উত্তেজনার বশে করা ভুলেই মিরাজের ‘ফেক ফিল্ডিং’

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

রংপুর রাইডার্সের ইনিংসের ১২তম ওভারের পঞ্চম বলের ঘটনা। রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিংয়ে শর্ট থার্ডম্যানের দিকে খেলেন রিলে রুশো। প্রথমে রান নিতে চাইলেও পরে থেমে যান দুই ব্যাটসম্যান।

ওদিকে থার্ডম্যানে দাঁড়ানো ফিল্ডার বল থ্রো করার পরে সেটি ধরতে ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক জাকির হাসান। বল চলে যায় কভার অঞ্চলে। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে বল ধরতে যান মিরাজ। কিন্তু বল ধরতে ডাইভ দেয়ার বল তাকে অতিক্রম করে যাওয়ায় সেটি থামাতে পারেননি মিরাজ।

লং অনের ফিল্ডার দৌড়ে এসে সে বল ফেরত পাঠানোর আগেই দুই রান নিয়ে নেন দুই ব্যাটসম্যান। এরপরই ঘটে মূল ঘটনা। ম্যাচের দুই আম্পায়ার র‍্যানমোরে মার্টিনেজ এবং শরফৌদ্দুল্লা ইবনে সৈকত মিরাজের সেই ডাইভটিকে ধরেন ‘ফেক ফিল্ডিং’ হিসেবে।

যা কি-না আইসিসির নতুন নিয়মের ৪১.৫ ধারার লঙ্গন। যেখানে বলা আছে কোনো ফিল্ডার যদি বল না ধরেই বল ধরার ভান করে থাকেন তবে মাঠের দুই আম্পায়ার চাইলে বোলিং দলকে ৫ রান পেনাল্টি করতে পারেন, যা যোগ হবে ব্যাটিং দলের সংগ্রহে।

সে নিয়মেই মিরাজের ঐ বল থেকে পেনাল্টি পাঁচ এবং ওভারথ্রো থেকে দুইসহ মোট ৭ রান পেয়ে যায় রংপুর। এছাড়া সেই বলটিকেও ডেড বল ঘোষণা করা হয়। এটা নিয়ে তখন মাঠে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা, দুই আম্পায়ার মিরাজকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বুঝিয়েছেন এটি। আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজও।

ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে এই ঘটনার কথা। সেই বোনাস ৭ রান দেয়ার পরেও শেষপর্যন্ত রাজশাহী ম্যাচ জিতেছে ৫ রানের ব্যবধানে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে এসে মিরাজ স্বীকার করে নিয়েছেন যে ভুল তারই ছিলো।

এসময় তিনি জানিয়েছেন মূলত উত্তেজনার বশেই হয়েছে এমনটা। মিরাজের ভাষ্যে, ‘হ্যাঁ, নিয়মটা আমি জানতাম। ওটা আসলে আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। ওই সময় আমি ভাবছিলাম আমাকে বল আটকাতে হবে, কীভাবে কী করব, বল একটু দূরে ছিল। এ কারণে ফলস ডাইভ দিয়ে ফেলেছি।’

‘হ্যাঁ, জানতাম পেনাল্টি ৫ রান। পরে আর এ ধরনের কিছু হবে না। ওই সময়ে আমি নিজেও একটু উত্তেজিত ছিলাম। দলের সিনিয়ররা আমাকে বলেছে না শান্ত থাক। লরি ইভানস আমাকে বলছিল মেহেদী কুল থাকো। কুল থাকলে আমাদের ভালো হবে। ওই সময় ওদের প্রায় ৭ করে রান দরকার ছিল।’

এসএএস/জেআইএম

আরও পড়ুন