শক্তিতে ঢাকাকেই এগিয়ে রাখতে চান মাশরাফি
চার ও ছক্কার প্রদর্শনী বহু দূরে, দিনের প্রথম ম্যাচে বিগ শট খেলাই দায়। তাই প্রতিদিনই প্রথম ম্যাচে দেখা দেয় রান খরা। শুক্রবার সেই ‘মরা গাঙে বান ডাকার’ মতো দুপুরে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স আর রানার্সআপ ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচে হঠাৎ আলোর ঝলকানি।
প্রচুর চার ও ছক্কার ফুলঝুরি। ১৭ টি ছক্কা, যার মধ্যে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা হাঁকান ৯টি আর রংপুর ব্যাটসম্যানদের উইলো থেকে বেরিয়েছে ৮টি ছক্কা। এর সঙ্গে রানের নহরও বয়ে গেছে।
এককথায় এবারের বিপিএলে প্রথম ‘বিগ স্কোরিং’ গেম। যে ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস ১৮৩ রানের বড়সড় স্কোর গড়েও শেষ অবধি জিতেছে মাত্র ২ রানে। তার মানে পুরো ম্যাচে ১৮৩+১৮১ = ৩৬৪ রান, গড়ে ১৮২ প্রতি ইনিংসে।
শুধু বেশি রান ওঠা আর প্রায় দেড় ডজন ছক্কার প্রদর্শনীর কারণেই নয়, ম্যাচের আকর্ষণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছিল প্রচুর। পরাজিত রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফির ধারণা, এবারের বিপিএলে মনে হয় শুক্রবারেরই সেরা ম্যাচটা হয়েছে।
মাশরাফির বিশ্বাস, ‘সত্যি কথা আজকে উইকেটটাও অনেক ভালো ছিল। এমন উইকেটে খেলা হলে এই ম্যাচের মতো আরও ম্যাচ দেখা যাবে।’
তার ধারণা রিলে রুশো আর মোহাম্মদ মিঠুনের আউট দুটিই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনে হয় রুশোর আউটটা...পরপর দুটো সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়া। রুশোর পর মিঠুন। এ ছাড়া আমার কাছে মনে হয় যে, রানটা এত হওয়ার কথা না ওদের। আমরা অনেক বাজে ফিল্ডিং করছি। নইলে হয়তবা আরও ক্লোজ হতো।’
ঢাকা অন্যদের চেয়ে শক্তিতে বেশি এগিয়ে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, আপনি যদি ঢাকা-কুমিল্লা দেখেন, তারা অনেক ব্যালেন্স। কারণ, তাদের টপ অর্ডারে প্রথম ৬ ওভারের পাওয়ার প্লের ফায়দার নেয়ার মতো প্লেয়ার আছে। মিডেলে সাকিব আছে, রনিও ভালো খেলছে। এছাড়া টপ সিক্স অনেক ভালো খেলছে। এক্সেক্টলি রনি, নারিন, যাযাই- এরা অনেক ভালো করছে, আর বটমে ধরেন সাকিব সেট থাকলে শেষদিকে বিশ্বের সেরা দুই খেলোয়াড়ই ওদের সো ওরা টিম ওয়াইজ ব্যাটিং বোলিং সব দিকেই ব্যালেন্সড। অবশ্যই কুমিল্লাও ভালো। আমরাও খারাপ করছি না। আমরা যদিও ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। যদিও দুইটা ম্যাচ খুব কাছে গিয়েই হেরেছি।’
আলিস আল ইসলাম কেমন বোলিং করল? মাশরাফির জবাব, ‘হ্যা অবশ্যই ও ভালো করেছে। বলে ভ্যারিয়েশন আছে। ওর জন্যও ভালো হয়েছে যে এই ধরনের স্টেজে এসে ক্রুশাল মোমেন্টে ভালো বল করে ম্যাচ জিতিয়েছে।’
এআরবি/এসএএস/জেডএ