ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিপিএলে ফাঁকা গ্যালারি নিয়ে মুশফিকের রসিকতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতা প্রায় পঁচিশ হাজার। যার অর্থ, একসঙ্গে ২৫ হাজার মানুষ সরাসরি মাঠে বসে দেখতে পারেন শেরে বাংলায় হওয়া যে কোনো ম্যাচ। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে গড়পড়তা হাজার পাঁচেক দর্শকের দেখাও মিলছে না কোনো ম্যাচে।

টুর্নামেন্টের প্রথম তিন দিন তাও টেনেটুনে পাঁচ হাজার দর্শকের সমাগম হলেও আজ (বুধবার) দিনের প্রথম ম্যাচে পুরো মাঠের সারা গ্যালারিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মোটে হাজার খানেক দর্শক দেখা গিয়েছে। এবারের আসরে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথসহ বড় বড় তারকাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও নেই দর্শকদের আগ্রহ। ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে মাঠ।

গ্যালারির এমন শূন্যতা কিংবা দর্শকদের অনাগ্রহের কারণ হিসেবে অনেকেই বলেন অনেক কথা, দাঁড় করান অনেক রকম ব্যাখ্যা। কেউ মনে করেন টানা ম্যাচ থাকায়, আবার কেউ মনে করেন দুপুরবেলা ম্যাচের সূচি দেয়ায় দর্শকদের দেখা মিলছে না। আবার কেউ আশাবাদী হন, হয়তো ছুটির দিন তথা শুক্রবারে ভরবে শেরে বাংলার গ্যালারি।

তবে এ ব্যাপারে নতুন এক তথ্য জানিয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের কাছে তার দল হেরেছে মাত্র ৫ রানের জন্য। পুরো ম্যাচজুড়ে প্রায় খালিই ছিলো মিরপুরের গ্যালারি। এতো চাকচিক্যে ভরা ও তারকাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও কেন খালি থাকে গ্যালারি?

এমন প্রশ্নের জবাবে রসিকতার সুরে মুশফিক বলেন, 'ফাঁকা গ্যালারি তো থাকবে ভাই। সবাই এখন মোবাইলে লাইভ দেখতে পারে, বাসায় বসে বসে আরামে দেখতে পারে। যখন বাইরে কাজ করে তখন টিভিতে দেখে বা মোবাইলে দেখে। এই কারণেও হতে পারে। যদি দেখেন আগে লিগের খেলা আবাহনী-মোহামেডানের খেলা হত, তা তো কোথাও দেখার সুযোগ থাকত না। তখন অনেক দর্শক হতো। আর এখন এখানে এসে জানে যে সহজেই খেলার খোঁজ রাখা সম্ভব।'

তবে তিনিও দর্শকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান, মাঠে এসে স্মিথ-ওয়ার্নারদের মতো বড় তারকাদের খেলা দেখতে। মুশফিক বলেন, 'সারা বছর আন্তর্জাতিক খেলা এত হয় যে মানুষ ভাবে এখন একটু রেস্ট নেই, পরে আন্তর্জাতিক খেলা হলে দেখব। তবে আমি দর্শকদের উদ্দেশ্যে এটাই বলব, এত বড় বড় প্লেয়ার আসছে- স্মিথ, ওয়ার্নার, রাসেল, পোলার্ড। তাদের খেলা যদি মাঠে বসে না দেখেন, তাহলে আর কোথায় দেখবেন!'

এসএএস/এমএমআর/জেআইএম

আরও পড়ুন