৬ বছর পর বিপিএলের জার্সিতে আশরাফুল
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ‘প্রথমে’র সঙ্গে জড়িয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম। তার সেঞ্চুরিতে বধ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তার দুর্দান্ত উইলোবাজিতে নাস্তানাবুধ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টের সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়নের তকমাটা তো এখনও তার নামের পাশেই জ্বলজ্বল করছে।
সেই মোহাম্মদ আশরাফুল বিপিএলের প্রথম দুই আসরেও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ক্যারিয়ারের উত্তুঙ্গু সময়টাতে কি না হাঁটলেন অনৈতিকতার পথে। যে কারণে নিষিদ্ধ পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের আগস্টে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে ডানা মেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটের মুক্ত আকাশে। যদিও তারও এক বছর আগে থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার।
নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি মুক্তি মেলার পর এই প্রথম বিপিএলে খেলার সুযোগ পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বিপিএলের ড্রাফট থেকে আশরাফুলকে কিনে নেয় চিটাগাং ভাইকিংস। সেই দলটির জার্সি গায়ে, মুশফিকুর রহীমের নেতৃত্বে অবশেষে বিপিএলের মাঠে ফিরে এলেন আশার ফুল খ্যাত এই ক্রিকেটার।
দীর্ঘ ৫ বছর ১১ মাস পর বিপিএলের মাঠে ফিরে এলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ খেলেছিলেন বিপিএলের কোনো ম্যাচ। সেবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেছিলেন বিপিএলের ফাইনাল। প্রতিপক্ষ ছিল চিটাগং কিংস।
মাশরাফির নেতৃত্বে সেই ম্যাচে ১৬ বলে খেলেছিলেন ২৪ রানের ইনিংস। চিটাগাং কিংসকে হারিয়ে হয়েছিলেন বিপিএল চ্যাম্পিয়ন। এবার সেই চিটাগাংয়ের ফ্রাঞ্চাইজির হয়েই (চিটাগাং ভাইকিংস) মাঠে ফিরলেন আশরাফুল। তার তখনকার অধিনায়ক মাশরাফির বিপক্ষেই আজ খেলতে নামলেন তিনি। ভাইকিংসদের প্রতিপক্ষ মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।
চিটাগাং ভাইকিংস একাদশ
মোহাম্মদ শাহজাদ, ক্যামেরন ডেলপর্ট, মোহাম্মদ আশরাফুল, মুশফিকুর রহীম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সিকান্দার রাজা, রবি ফ্রাইলিংক, নাঈম হাসান, সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী এবং সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
আইএইচএস/এমএস