ডিআরএসের পাশাপাশি ড্রোন-স্পাইডার ক্যামেরাও থাকছে এবার
আয়োজনের সাফল্য আগের আসরগুলোকে ছাড়াতে পারবে কি-না তা সময়ই বলে দেবে। তবে আসর শুরুর আগে নতুন বছরের এ টুর্নামেন্টকে মনে হচ্ছে নতুনত্বের সমাহার। আসরের শুরু থেকে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা তারকাদের ঝলমলে উপস্থিতি তো থাকছেই।
এর সাথে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে আম্পায়ার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম তথা ডিআরএস। আম্পায়ারের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত থাকলে খেলোয়াড়রা চাইলেই রিভিউ করতে পারবেন সে সিদ্ধান্ত। এর পাশাপাশি চমক হিসেবে থাকছে মানববিহীন 'ড্রোন' এবং স্পাইডার ক্যামেরা।
বিপিএলে আগেও তারকার সমাবেশ ঘটেছে; কিন্তু শুরু থেকে এত বিপুল সংখ্যক বিশ্ব বরেণ্য ও নামি-দামি ক্রিকেটার আগে কখনো বিপিএল খেলতে আসেননি। এটা একটা নতুনত্ব এবং বড় তাৎপর্য্যও এবারের আসরের। সে সাথে প্রচারণায়ও আসছে নতুনত্ব ও অভিনবত্ব।
আগের আসরগুলোতে ক্যামেরার কাজ ভাল ছিল না। সেই অপবাদ ঘোচাতে এবার ব্যতিব্যস্ত আয়োজকরা। এবার ২৬ থেকে ৩৬টি ক্যামেরা ব্যবহারের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রথম পর্বে স্পাইডার ক্যামেরা না থাকলেও পরের পর্বেই স্পাইডার ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়া মানববিহীন ‘ড্রোন’ থাকবে এবারের পুরো আসর জুড়েই।
সবচেয়ে বড় কথা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার সুযোগ থাকবে। মানে রিভিউ সিস্টেমও আছে এবার। বলার অপেক্ষা রাখে না, আগে কখনোই রিভিউ সিস্টেম ছিল না বিপিএলে। সর্বাধিক তারকা, ক্যামেরা তথা প্রচার ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং রিভিউ (ডিআরএস) সিস্টেম- সব মিলে নতুনের সমাহার।
কাজেই আয়োজকরা এখন পর্যন্ত কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। তবে একটি বিষয় চোখে পড়ার মত। তাহলো, খোদ আয়োজক বিসিবি কর্তাদের নিস্পৃহতা। ঠিক নিষ্ক্রিয়তা বলা যাবে না। কারণ আয়োজকরা নিষ্ক্রিয় থাকলে এত বড় আয়োজন সম্ভব ছিল না; কিন্তু গত কদিন মানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিপিএল নিয়ে খোদ বোর্ডে যতটা সাড়া পড়ার কথা ততটা চোখে পড়েনি এবার।
এআরবি/এসএএস/এমএস